নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনায় তৃণমূল ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার অনুমতি বিচারপতি মান্থার

পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে তৃণমূল ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে আগেই। আর এই অভিযোগের ভিত্তিতে জরুরি ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার মামলা দায়ের করার অনুমতি দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টায় এই মামলার শুনানি বলে আদালত সূত্রে খবর। কারণ, পুলিশি তদন্তে আস্থা নেই, এই দাবি নিয়েই আদালতের দ্বারস্থ হয় নির্যাতিততার পরিবার। ওই ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ, নাবালিকাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রথমে সহবাস এবং পরে আপত্তিজনক ভিডিয়ো মুছে ফেলার নাম করে দিঘার হোটেলে ডেকে ধর্ষণ করা হয় ওই নাবালিকাকে। এরপর এই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর সেই অভিযোগ প্রত্যাহার করার জন্য হুমকি দেওয়া হতে থাকে নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদের, এমন অভিযোগও জানান নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা। পাশাপাশি এও দাবি করা হয়, পুলিশের প্রত্যক্ষ মদতেই এই হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এই ঘটনায় নির্যাতিতার বাবা আগেই জানিয়েছিলেন, ‘আমার নাবালিকা মেয়েকে প্রলোভন দেখিয়ে, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ওরা নিয়ে গিয়েছিল। আমরা থানায় অভিযোগ করেছি। তবে তারপর থেকে আমরা খুবই ভয়ে দিন কাটাচ্ছি। ফোনে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। লোক মারফত হুমকি আসছে। রাতে বাড়ির বাইরে অপরিচিতদের বাইকের আনাগোনা দেখতে পাচ্ছি।’

প্রসঙ্গত, এক নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এক ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, নির্যাতিতার মা অভিযোগে এও জানান, সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই ভিডিয়ো ভাইরাল করে দেওয়ার ভয় দেখানো হয় তাঁর মেয়েকে। এরপর ফের দিঘার হোটেলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয় ওই নাবালিকাকে। কাঁথি মহিলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় ওই ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে। শুধু ওই ছাত্রনেতাই নয়, এই ঘটনায় তাঁর বাবা ও মায়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়। পকসো সহ আইনের একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে অভিযোগ।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × 1 =