উইম্বলডনের নতুন চ্যাম্পিয়ন কার্লোস আলকারাজ

ফিনিক্স হতে চেয়েছিলেন নোভাক জকোভিচ। ফিনিশ করতে পারলেন না। এ বছরের প্রথম দুটি গ্র্যান্ড স্লাম তাঁর দখলেই। তৃতীয়, চতুর্থ ধরে হিসেব এগোচ্ছিল। প্যারিসে ২৩তম গ্র্যান্ড স্লাম জিতে রেকর্ড গড়েছিলেন। পুরুষদের টেনিসে সবচেয়ে বেশি গ্র্যান্ড স্লাম জোকারের দখলেই। উইম্বলডনে লক্ষ্য ছিল রেকর্ড ২৪ তম গ্র্যান্ড স্লাম। পুরুষ হোক কিংবা মহিলা, ২৪-এর ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছনো হল না নোভাকের। উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন স্প্যানিশ তরুণ কার্লোস আলকারাজ। উইম্বলডনে মহিলাদের সিঙ্গলসে নতুন চ্যাম্পিয়ন পাওয়া গিয়েছে এ বছর। তাও আবার অবাছাই থেকে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার রেকর্ড। চেক প্রজাতন্ত্রের মার্কেতার পর কার্লোস আলকারাজ। অবাছাই নন, কিন্তু নবীশ বলাই যায়। এক দিকে ২৩টি গ্র্যান্ড স্লাম জয়ী নোভাক জকোভিচ। উল্টোদিকে তরুণ তুর্কী। যাঁর স্ফূর্তি, সাহস প্রশংসনীয়। অনেক ক্ষেত্রে অতি আত্মবিশ্বাসও ঘিরে ধরে। ফাইনালে শেষ মুহূর্ত অবধি লড়াই। সমানে সমানে টক্কর। জকোভিচ প্রথম সেট জেতেন ৬-১ ব্যবধানে। পুরো সেটে সময় লাগে ৩৫ মিনিটের মতো। মনে হয়েছিল, একপেশে ফাইনাল হবে না তো! দ্বিতীয় সেটই গড়াল টাইব্রেকারে। সেটি জিতে ম্যাচে ফেরেন আলকারাজ। তৃতীয় সেটের পঞ্চম গেমটিই স্থায়ী হয় ২৬ মিনিট। এই সেটও জেতেন স্প্যানিশ তরুণ। মেজাজ হারিয়ে নেটের পোস্টে ব়্যাকেট মারেন নোভাক জকোভিচ। তুবড়ে যায় ব়্যাকেট। চিহ্ন থেকে যায় নেটেও। চতুর্থ সেট জিতে ফের ম্যাচে ফেরেন নোভাক। এখানে প্রশ্ন, চাপের মুখে ভেঙে পড়বেন না তো কার্লোস! কেরিয়ারের প্রথম গ্রান্ড স্লামটি খুব বেশি স্মরণীয় ছিল না কার্লোস আলকারাজের। তার অন্যতম কারণ, ফ্যাব থ্রি-র না থাকা। কোভিড টিকা না নেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে খেলার সুযোগ পাননি নোভাক। ২০২২-এর যুক্তরাষ্ট্র ওপেন হয়েছিল অভাবনীয় পরিস্থিতিতে। শেষ চারে ছিলেন না রাফায়েল নাদাল, নোভাক জকোভিচ এবং রজার ফেডেরারের কেউই। হয়তো সে কারণেই কার্লোস আলকারাজের খেতাব জয় স্বীকৃতি পায়নি সেভাবে। উইম্বলডনের ফাইনাল হয়ে রইল স্পেশাল। পাঁচ সেটের লড়াইয়ে সাত বারের উইম্বলডন এবং ২৩টি গ্র্যান্ড স্লাম জয়ী নোভাককে হারিয়ে কেরিয়ারের দ্বিতীয় গ্র্যান্ড স্লাম জিতলেন আলকারাজ। তাঁর পক্ষে ম্যাচের ফল ১-৬, ৭-৬ (৬), ৬-১, ৩-৬, ৬-৪।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eight − 2 =