ভিন রাজ্যে গাড়ি পৌঁছে দেওয়ার নামে প্রতারণা চক্রের পর্দাফাঁস

এক রাজ্য থেকে ভিন রাজ্যে গাড়ি পৌঁছে দেওযার নামে প্রতারণার ফাঁদ। আর এই প্রতারণার ফাঁদ পাতা সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন দিয়ে। আর এই প্রতারণা চক্র সামনে আসে জোড়াবাগান থানার গঙ্গারাম দত্ত লেনের এক দম্পতির অভিযোগের ভিত্তিতে। ওই দম্পতি এই ঘটনায় জানান, আট হাজার টাকায় পারিবারিক গাড়ি চেন্নাই পাঠানোর চুক্তি হয়। এরপর গাড়িটি চেন্নাই পৌঁছনোর আগেই ফোনে আরও টাকা চাওয়া হয় ওই সংস্থার তরফ থেকে। এরপরই এই গটনায় পুলিশের শরনাপন্ন হন তাঁরা। এরপরই তদন্তে নামলে সামনে আসে এই প্রতারণা চক্রের কাণ্ডকারখানা। পাশাপাশি তদন্তকারী আধিকারিকদের ধারণা, দীর্ঘদিন ধরেই এই প্রতারণা চক্র সক্রিয়। মানুষকে ভয় দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল বলে অভিযোগ।

ঘটনার সূত্রপাত, জোড়াবাগান থানা এলাকায় এক দম্পতির তাঁদের পারিবারিক একটি গাড়ি চেন্নাই পাঠাতে চান। তারই উপায় খুঁজতে গিয়ে হঠাৎ-ই সোশ্যাল মিডিয়ায় গত ৮ই জানুয়ারি তাঁরা বিজ্ঞাপন দেখতে পান। বিজ্ঢাপন অনুসারে ওই সংস্থার সঙ্গে দম্পতি যোগাযোগ করেন। সংস্থার তরফে জানানো হয় আট হাজার টাকার বিনিময়ে পারিবারিক গাড়িটি সংস্থা পৌঁছে দেবে চেন্নাইয়ে। সেই মতো ওই দম্পতি টাকাটা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দিয়ে দেন। এরপর ১৫ জানুয়ারি সংস্থার তরফে কলকাতা থেকে চালক পাঠিয়ে গাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়।এরপর ওই গাড়ি নিয়ে যাওয়ার পর ওই দম্পতির কাছ থেকে ফোনের মাধ্যমে আরও ৪৬ হাজার টাকা চাওয়া হয়। তখনই তাঁরা প্রশ্ন করেন কেন এই অতিরিক্ত টাকা দেবেন? অভিযোগ, তখনই সংস্থার লোকজন দম্পতিকে ভয় দেখান। জানান অতিরিক্ত টাকা না দিলে গাড়িটি বিক্রি করে দেওয়া হবে। পাশাপাশি আট হাজার টাকাও ফেরত দেবে না। এমন হুমকি পাওয়ার পরই দ্রুত জোড়াবাগান থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। এরপরই তদন্তে নামে জোড়াবাগান থানার পুলিশ। এরপরই যে ঠিকানা ওই সংস্থার তরফে দম্পতিকে দেওয়া হয়েছিল তাঁরা সেখানে খোঁজ নিতে গিয়ে দেখেন ওই সংস্থার কোনও অস্তিত্বই নেই। এরপর জোড়াবাগান পুলিশের তরফ থেকে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়। ফুটেজ দেখে তিলজলা এলাকা থেকে সৈফুদ্দিন জামান নামে চালককে গ্রেপ্তার করে। তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর বেনিয়াপুকুর থেকে গাড়িটি উদ্ধার হয়। বাকিদের খোঁজেও চলছে তদন্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nineteen + 4 =