ব্যারাকপুর: পিএফ, ইএসআই, গ্র্যাচুইটির সুবিধা ছাড়া শ্রমিক নিয়োগ করা যাবে না। মঙ্গলবার শ্যামনগর এক্সাইড ব্যাটারি কারখানার গেটে শ্রমিক সংগঠনের সভায় এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ তথা শ্রমিক নেতা অর্জুন সিং। তৃণমূল সমর্থিত শ্যামনগর এক্সাইড পার্মানেন্ট মজদুর মোর্চার তরফে সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে কারখানা কর্তৃপক্ষকে স্পষ্টতই তিনি বলেন, শ্রমিকদের ওপর জুলুম করা চলবে না। শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার দিতে হবে। ঠিকা শ্রমিকদের স্থায়ীকরন করতে হবে। তারপর সেই জায়গায় নতুন করে শ্রমিক নিয়োগ করতে হবে। এছাড়া ২৫ জন শ্রমিকের হাজিরা নেওয়া হচ্ছে না। বঞ্চিত ওই ২৫ জন শ্রমিকের হাজিরা নিতে হবে। সাংসদের সংযোজন, শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে যা চুক্তি করা হয়ে থাকে। সেই চুক্তিও লাগু করতে হবে।
সাংসদের কথায়, ‘ধৈর্যের একটা সীমা আছে। যেদিন সীমা পেরিয়ে যাবে। সেদিন এই নেতারাও আপনাদের পাশে দাঁড়াবে না।’ সাংসদের কথায়, যাঁরা ঠিকাদারি করেন তাঁরা ইউনিয়ন করবে কী করে? প্রসঙ্গত, বহুদিন ধরে এক্সাইড ব্যাটারি কারখানায় ইউনিয়নের নির্বাচন হচ্ছে না। এদিনের সভা থেকে নির্বাচনের দাবি তোলেন অর্জুন সিং। সভায় হাজির ছিলেন এক্সাইড মজদুর মোর্চার কার্যকরী সভাপতি সঞ্জয় সিং, যুগ্ম সম্পাদক বাপ্পা বোস ও পারশ নাথ কৈরী, শ্যামনগর-আতপুর তৃণমূল সভাপতি ও সহ-সভাপতি যথাক্রমে হিমাংশু সরকার ও শ্যামল তলাপাত্র, ভাটপাড়ার প্রাক্তন উপ-পুরপ্রধান সোমনাথ তালুকদার, ভাটপাড়ার দুই কাউন্সিলর সত্যেন রায় ও প্রবীর বৈদ্য, তৃণমূল নেতা রাজকুমার যাদব, মানিক নট্ট, মন্নু সাউ, রজত মৈত্র, গৌতম সরকার, প্রাক্তন কাউন্সিলর সোহন প্রসাদ চৌধুরী, বর্ষীয়ান শ্রমিক নেতা গোলাম মহম্মদ সিদ্দিকি ও ওঙ্কার নাথ সাউ প্রমুখ।