চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলনে অনুমতি কলকাতা হাই কোর্টের

চাকরির পরীক্ষার দাবিতে আন্দোলনে অনুমতি মিলল হাই কোর্টের তরফ থেকে। শহিদ মিনারে এই অবস্থান বিক্ষোভের এই অনুমতি দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য অবিলম্বে পরীক্ষা নিতে হবে, এই দাবিতে মামলা হয় আদালতে। কারণ, ২০১৬ সালে শেষবার হয় এসএলএসটি পরীক্ষা। নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশে সহ শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য ওই পরীক্ষা নেওয়া হয়। গত ৬ বছর কোনও পরীক্ষা না হওয়ায় ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হচ্ছে ক্রমশই। কারণ, কমিশনে একাধিক চিঠি দিয়েও মেলেনি কোনও আশ্বাস। ফলে এখন আর তা রাজ্য সরকারের কাছে পৌঁছে দিতে একমাত্র উপায় এখন এই আন্দোলন। এদিকে স্কুল সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ জানাতে চাইলেও অনুমতি দিচ্ছে না পুলিশ। সে কারণেই আদালতের দ্বারস্থ হন চাকরি প্রার্থীরা।

মঙ্গলবার বিচারপতি মান্থার বেঞ্চে ছিল সেই মামলার শুনানি। এদিন তিনি আন্দোলনের অনুমতি দিয়েছেন। সেই নির্দেশ মতো আগামী সপ্তাহ থেকে আন্দোলন শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে। তবে এসএলএসটির চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলন একদিনের নয়।  তারপরও কেন নিয়োগ হচ্ছে না তাতেই বাংরবার প্রশ্ন তুলতে দেখা যাচ্ছে চাকরি প্রার্থীদের।

হাই কোর্টে এই অবস্থান বিক্ষোভের দাবি জানানো হয় মূলত নবম থেকে দ্বাদশ পর্যন্ত চাকরি প্রার্থীদেরই তরফ থেকেই। কারণ, প্রায় ২ বছর ধরে নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন চলছে। আর কয়েকদিন পরই সেই আন্দোলনের পুরোপুরি ২ বছর পূর্ণ হবে। কখনও প্রেস ক্লাব, কখনও বিকাশ ভবন, কখনও গান্ধীমূর্তির পাদদেশে নিজেদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরেছেন তাঁরা। কিন্তু সুরাহা এখনও হয়নি। সম্প্রতি সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও চিঠি লেখেন আন্দোলনকারীরা। নিজেদের জীবন-যন্ত্রণার কথা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দিতে চান তাঁরা। তাঁদের একটাই অনুরোধ, মুখ্যমন্ত্রী যেন তাঁদের দ্রুত স্কুলে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × four =