ইভিএম কারচুপি বিতর্কের মাঝেই নয়া পদক্ষেপ নির্বাচন কমিশনের। ভোটের ফল প্রকাশের পর ইভিএম পরীক্ষার আবেদন করতে পারবেন প্রার্থী। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থাকা প্রার্থীরা এই আবেদন করতে পারবেন কমিশনের কাছে। এর জন্য নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা ও অভিযোগের বয়ান জমা দিতে হবে নির্বাচন কমিশনের কাছে। যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তবে টাকা ফেরত দেবে কমিশন। কমিশনের এই সিদ্ধান্তের কারণ, লোকসভা নির্বাচনের শেষ লগ্নে ফের শুরু হয়েছে ইভিএম নিয়ে বিতর্ক। শাসক এবং বিরোধী দুই তরফ থেকেই বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক নেতারা ইভিএম কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন। আর তারই প্রেক্ষিতে এমনই এক সিদ্ধান্ত নিতে দেখা গেল কমিশনকে।
ভোট রাজনীতিতে ইভিএম নিয়ে অভিযোগ নতুন কিছু নয়। বারংবার অভিযোগ উঠেছে। সুপ্রিম কোর্টেও মামলা হয়েছে ইভিএম হ্যাকিং বা কারচুপি নিয়ে। শীর্ষ আদালতে সেই মামলা খারিজ হয়ে গেলেও রাজনৈতিক দলগুলির ইভিএম নিয়ে এই অভিযোগ নিরসন করতেই এবার বড় পদক্ষেপ জাতীয় নির্বাচন কমিশনের।
প্রসঙ্গত, ইভিএমের ক্ষেত্রে সেমি-কন্ডাক্টর যন্ত্রটি পরীক্ষা করলেই বোঝা যায়, ইভিএম ট্যাম্পারিং বা ইভিএমে কারচুপি হয়েছে কি না।
নির্বাচন কমিশন আগে বারংবার দাবি করেছে, ইভিএমে কোনওভাবে ট্যাম্পারিং করা সম্ভব নয়। কিন্তু বিরোধীরা যেভাবে অভিযোগ তুলছে, তাতে সাধারণ মানুষের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে বিরূপ ধারণা তৈরি হচ্ছে। এই ভ্রান্ত ধারণা দূর করতেই ইভিএম পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের। এক্ষেত্রে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে যে দুজন প্রার্থী থাকবে, তারা চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন।