নিজস্ব প্রতিবেদন, মুর্শিদাবাদ: লোকসভা ভোটের আগে ফের বেসুরো ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। বহরমপুর লোকসভায় তৃণমূলের প্রার্থী ‘নাপসন্দ’ বরাবরের বিদ্রোহী বিধায়কের। এক ভিডিও বার্তায় নিজের আক্ষেপ প্রকাশ করে বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে নির্দল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইঙ্গিতও দিয়েছেন। সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই শাসকদলের অন্দরে অস্বস্তি বেড়েছে। যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি ‘একদিন’ পত্রিকা।
হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘বহরমপুর লোকসভার সাতটি বিধানসভা রয়েছে। বহরমপুর বিজেপির। বড়এŒার বিধায়ক জেলে রয়েছেন। বাকি আমাদের পাঁচজনকে অন্ধকারে রেখে প্রার্থী নির্বাচিত করা হয়েছে। রাজ্যের বাইরে থেকে প্রার্থী আনার দরকার হল কেন?’ বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে এবার ঘাসফুল প্রতীকে লড়ছেন বিশ্বকাপ জয়ী দলের ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান। বিগ্রেডের জনগর্জন সভা থেকে ঘোষণা হতেই তৃণমূলের অন্দরে ছন্দপতন হয়েছে বলে খবর। অনেকেই ভিতরে ভিতরে গজগজ করলেও সোজা হাতে ব্যাট চালিয়েছেন ভরতপুরের বিতর্কিত বিধায়ক হুমায়ুন কবীর।
এর আগেও খোদ তৃণমূল সুিপ্রমো থেকে শুরু করে সদ্য কালীঘাটের বৈঠকের পর অভিষেক ব¨্যােপাধ্যায়েরর বিরুদ্ধেও তাঁকে মুখ খুলতে দেখা গিয়েছে। এবার প্রার্থী নিয়েই সোমবার এক ভিডিও বার্তায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। বলেন, ‘অধীর চৌধুরী দূরদর্শী, দক্ষ সংগঠক। পাঁচ বারের সাংসদ। ইউসুফ ভালো ক্রিকেটার। কিন্তু বাইরে থেকে গায়ক (ইন্দ্রনীল সেন) বা খেলোয়াড়কে (ইউসুফ পাঠান) এনে অধীরকে হারানো যাবে না।’
হুমায়ুন কবীরের দাবি, ‘আমি, নিয়ামত শেখ, অপূর্ব সরকার বা রবিউল আলম চৌধুরী কে প্রার্থী হবে জানতাম না। আমাদের অন্ধকারে রাখা হয়েছিল। প্রার্থীর জন্য ভোটে লড়াই করব আমরা। অথচ আমাদের সঙ্গে আলোচনা না করেই দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ও বেঁকে বসেছিলেন হুমায়ুন কবীর। তখন জানিয়েছিলেন, ‘দলে থেকে গুরুত্ব পাচ্ছি না। লোকসভা ভোটে আলাদা দল করে লড়ব।’ আলাদা দল বা করলেও এবার নির্দল প্রার্থী হয়েই লড়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন হুমায়ুন কবীর। বলেন, ‘এখনও বহু কিছু পরিবর্তনের সময় আছে। রাজনীতিতে কোনও কিছুই স্থায়ী নয়। রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু হয় না। সম্ভাবনাময় শিল্পের নাম রাজনীতি। এখন নির্বাচন ঘোষণা হয়নি। সময় আসুক আমার সিদ্ধান্ত জানাব।’