কলকাতা: সরস্বতী পুজো ঘিরেও বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়েছে অশান্তি। তার জেরেই এবার নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের।বাগদেবীর আরাধনায় ডাকা হচ্ছে টেন্ডার। এমনই নির্দেশিকা জারি করেছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। কর্তৃপক্ষের তরফে দেওয়া নোটিসে জানানো হয়েছে, প্যান্ডেল বানানোর দায়িত্বে থাকবে টেন্ডার পাওয়া এজেন্সির। বিশ্ববিদ্যালয় ওই এজেন্সি ছাড়া কারও হাতে টাকা দেবে না।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় দরপত্র চেয়েছে। একটি দরপত্র চাওয়া হয়েছে পুজোর মণ্ডপ সজ্জা, আলপনা, অন্যান্য সাজ সরঞ্জামের জন্য। অন্যটি খাবারদাবারের।পুজোর আয়োজন, ৬-৭ ফুটের প্রতিমা-সহ অন্যান্য দশকর্মার জিনিস কেনার কাজ, আলপনা দেওয়া, প্রসাদ বিতরণের মতো কাজ বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারিত কমিটি করবে ওই এজেন্সির মাধ্যমে। খাবারের মেনুতে থাকবে খিচুড়ি, আলুরদম, বেগুনি, পাঁপড় ভাজা, চাটনি এবং নলেন গুড়ের রসগোল্লা।ছাত্রছাত্রীরা পুজোয় যেমন অংশ নেওয়ার নেবেন। প্রাক্তন কোনও ছাত্রছাত্রীর প্রবেশাধিকার নিষেধ। কোনও সাউন্ড বক্স বাজানো যাবে না। প্রতিমা বিসর্জনের দায়িত্বেও থাকবে ওই কমিটি। প্রথমে ছাত্রছাত্রীদের নোটিস দিয়ে সে কথা জানিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তার সঙ্গেই নির্দিষ্ট কাজগুলি করার জন্য টেন্ডার ডাকা হয়েছে।
কেন এমন টেন্ডার?
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য আশিস চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ‘নির্দিষ্ট পরিমাণের চেয়ে বেশি টাকা খরচ করতে হলে টেন্ডার ডাকতে হয় এটাই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম। তাই এই টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।’ তাঁর কথায়, ‘‘পুজোর খরচ চিরকালই বিশ্ববিদ্যালয় করে। এবার সব ক্যাম্পাসের পুজোর খরচ কেন্দ্রীয়ভাবে করা হচ্ছে। পুজোটা ছাত্রছাত্রীরাই করবে। খরচটা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে করা হচ্ছে বলে টেন্ডার ডাকা হয়েছে।’’
যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি ক্যাম্পাসে পুজোর জন্য এমন কোনও দিন হয়নি বলেই দাবি অনেকের। এই ঘটনা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসেও নজিরবিহীন।
এর পিছনে রাজনৈতিক কারণ রয়েছে কিনা তা নিয়েও চর্চা শুরু হয়েছে। অনেকের বক্তব্য, ছাত্র নেতাদের চাপ এড়াতেই এই পথে হাঁটতে হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়কে। এই মুহূর্তে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও ইউনিয়ন নেই। কিন্তু পুজোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে ছাত্রদের একটি অংশ মোটা টাকা দাবি করছিল বলে জানা গিয়েছে।