ফের আন্দোলনের নয়া এক নজির দেখলেন কলকাতাবাসী। চাকরির দাবিতে দিনের পর দিন রাস্তায় বসে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন চাকরি প্রার্থীরা। তা নিয়ে একের পর এক মামলাওহয়েছে। এরপরও সুরাহা হয়নি। সরকারের তরফ থেকে আশ্বাস দেওযা হলে বাস্তবিক ক্ষেত্রে তেমন কিছু ঘটেনি যাতে এই আন্দোলনের ছবিটার কোনও পরিবর্তন ঘটতে পারতো। আর সেই কারণেই শুক্রবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের দ্বারস্থ হলেন বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীরা। আর এখানেই নজরে আসে আন্দোলনকারীদের তরফ থেকে সরকার এবং তাঁদের পরিস্থিতি তুলে ধরার এক বিশেষ প্রয়াস।
শুক্রবার দুপুরে হামাগুড়ি দিয়েই রাজভবনের পথে এগোতে চাকরি দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে পথে বিক্ষোভ দেখাতে থাকা আন্দোলনকারীরা। এই হামাগুড়ি দিয়ে চলার তাৎপর্য হল, সরকার তাঁদের শিরদাঁড়া ভেঙে দিয়েছে । ৯-১০ বছর ধরে রাস্তায় বসে রয়েছেন তাঁরা, অথচ টাকা দিয়ে চাকরি করছেন অযোগ্যরা, এ অভিযোগ তাঁদের প্রথম থেকেই। আর এবার এই ইস্যুতেই রাজভবনের দ্বারস্থ হন তাঁরা।
এদিকে সূত্রে খবর, প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক, সব স্তরের চাকরি প্রার্থীরাই এদিন রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানানোর উদ্যোগ নেন। তাঁদের দাবি, রাস্তায় দিনের পর দিন বসিয়ে রেখেতাঁদের শিরদাঁড়া ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এদিন আন্দোলনকারীদের তরফ থেকে এক চাকরি প্রার্থী এও জানান, রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ ছাড়া কোনও সুরাহা হওয়া সম্ভব বলে মনে হয় না। আর কোনও উপায় নেই। কেউ পরীক্ষা দিয়েছে, ২০০৯ সালে, কেউ ২০১৪ সালে।
তবে হামাগুড়ি দিয়ে কিছুটা এগোনোর পরই পুলিশ গাড়িতে তুলে নেয় চাকরি প্রার্থীদের। পুলিশের এই পদক্ষেপে প্রতিবাদ জানান প্রার্থীরা। তাঁরা বলেন, আমরা রাস্তায় হেঁটে, হামাগুড়ি দিয়েই রাজভবনে পৌঁছতে চেয়েছিলাম। পুলিশ আমাদের তুলে নিল। পরে তাঁদের রাজভবনেই পৌঁছে দেয় পুলিশ।