পুলিশের কামড়’, খাওয়া অরুণিমার চিঠিতে কলকাতা পুলিশের রিপোর্ট তলব জাতীয় মহিলা কমিশনের

করুণাময়ীতে বিক্ষোভ দেখাতে এসে পুলিশের কামড় খেয়েছিলেন টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থী অরুণিমা পাল। অভিযোগ করেছিলেন করুণাময়ীতে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে ‘পুলিশের কামড়’ খেতে হয়েছিল তাঁকে। এই ঘটনায় এবার কলকাতা পুলিশের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল জাতীয় মহিলা কমিশন।
প্রসঙ্গত, গত ৯ নভেম্বর, কলকাতায় বিক্ষোভ দেখাতে গিয়েছিলেন। বিক্ষোভ হটাতে তাঁকে আটক করে প্রিজন ভ্যানে তুলেছিলেন কলকাতা পুলিশকর্মীরা। আর তখনই নাকি চরম ধস্তাধস্তির মাঝেই কলকাতা পুলিশের ইভা থাপা নামে এক মহিলা অফিসার তাঁর হাতে কামড়ে দেন, এমনটাই অভিযোগ জানান অরুনিমা।এরপরই সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে হাতের ক্ষত পরীক্ষা করান অরুণিমা। সরকারি হাসপাতালের প্রেসক্রিপশনেও বলা হল, মানুষের কামড়েই ক্ষত হয়েছে অরুণিমার হাতে। চাকরিপ্রার্থীর হাতে পুলিশকর্মীর এই কামড় দেওয়ার ঘটনায় উত্তাল হয় বঙ্গ রাজ্য রাজনীতি।বিরোধী শিবির থেকে প্রশ্ন তোলা হয়, অরুণিমাকে ঘটনার পর গ্রেপ্তার করা হলেও কেন অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি তা নিয়ে।
এই বিষয়ে রাজ্য মহিলা কমিশনকে কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে একটি রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে বলে সূত্রে খবর। সেখানে এও বলা হয়েছে যে, ওই মহিলা পুলিশ অফিসারকে ১৫ দিনের জন্য কাউন্সিলিং এবং ট্রেনিং পিরিয়ডে পাঠানো হচ্ছে। তবে এই রিপোর্ট ‘না পসন্দ’ অরুনিমার।এরপরই গোটা বিষয়টি জানিয়ে তিনি ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশনকে চিঠি দেন। ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশন বুধবার সেই চিঠির প্রত্যুত্তর দেয়। তাতে জানানো হয়েছে, ১৫ দিনের মধ্যে কলকাতা পুলিশ কমিশনারের কাছে পূর্ণাঙ্গ বিষয়টির রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে অরুণিমা পাল জানান, ‘আমি ওদের বিভাগীয় তদন্তে ব্যাপারে একেবারেই জ্ঞাত ছিলাম না। কী পদক্ষেপ করেছে, তাও জানতে পারিনি। আমার প্রশ্ন, যে পুলিশের কাউন্সিলিং করানোর প্রয়োজন রয়েছে, সেই অসুস্থ, অস্বাস্থ্যকর কনস্টেবল কীভাবে নিয়োগ হলেন? নাকি তাঁকে আড়াল করার চেষ্টা চলছে। তাই আমি পরবর্তী পদক্ষেপ করি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen − fifteen =