অ্যাপটিটিউড টেস্টই হয়নি, ৫ জেলার ইন্টারভিউয়াদের তলব বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

২০১৬ প্রাথমিক নিয়োগে আরও এক স্তরে অনিয়মের অভিযোগ। প্রাথমিক নিয়োগে হলফনামা খতিয়ে দেখে ক্ষুব্ধ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সোমবার ২০১৬ প্রাথমিক নিয়োগে কোনও অ্যাপটিটিউড টেস্টই হয়নি বলে বেশ ক্ষুব্ধ গলায় মন্তব্য করতে শোনা গেল কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে।  পাশাপাশি এও জানান, ‘অ্যাপটিটিউড টেস্ট নিয়ে হলফনামা যা দেওয়া হয়েছে তাতে ২০১৬ -এর প্রাথমিকে ওই টেস্ট নেওয়া হয়নি এটা স্পষ্ট। কারণ, এই নিয়ে যা নথি সাক্ষ্য জমা দেওয়া হয়েছে তাতে এটাই স্পষ্ট ভাবে প্রতীয়মান।  আদতে তিন চারটে প্রশ্ন করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।কোনও টেস্ট হয়নি।’

এদিন নিয়োগ মামলার শুনানিতে হুগলি, হাওড়া, উত্তর দিনাজপুর, কোচবিহার, মুর্শিদাবাদের থেকে নিয়োগপ্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষকদেরও তলব করল হাই কোর্ট। একইসঙ্গে যাঁরা ইন্টারভিউ নিয়েছিলেন আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি তাদের হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় আদালতের তরফ থেকে। ওইদিন রুদ্ধদ্বার এজলাসে শুনানি হবে বলেও জানান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। স্পষ্ট নির্দেশ আইনজীবী ছাড়া আর কেউ থাকতে পারবে না। একইসঙ্গে এও জানানো হয়, ওই দিনের সাক্ষ্য ক্যামেরা বন্দি করা হবে। এদিকে আদালত সূত্রে খবর, যাঁরা ২০১৬ সালের ওই সব ইন্টারভিউ ও অ্যাপটিটিউড টেস্ট নিয়েছিলেন তাঁদের ডেকেও কী পরীক্ষা নিয়েছেন সেই ব্যাপারে জানতে চায় আদালত।

আদালত সূত্রে খবর, এদিন হুগলি, হাওড়া, উত্তর দিনাজপুর, কোচবিহার, মুর্শিদাবাদের ক্ষেত্রে তালিকা খুলে দেখা হয়। তাতেই ওই ঘটনা সামনে আসে।অ্যাপটিটিউড টেস্ট আদৌ হয়েছিল কিনা তা নিয়ে তখনই সন্দেহ প্রকাশ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘ হোয়াট ইড অ্যাপটিটিউড টেস্ট’, এই প্রশ্নে বোর্ড অনেক কথা লিখেছে। অথচ যার সঙ্গে বাস্তবে যে অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়া হয়েছে তার সঙ্গে মিল নেই। এখানে ইন্টারভিউ আর অ্যাপটিটিউড টেস্ট এক করে দেওয়া হয়েছে। অথচ দুটোর জন্য আলাদা নাম্বার বরাদ্দ আছে।’

এদিকে আদালত সূত্রে আরও খবর, প্রতি জেলা থেকে অন্তত ১০ জন করে শিক্ষককে ডেকে পাঠানো হয়েছে। ২১ ফেব্রুয়ারি বেলা দুটোয় তাদের আদালতে হাজির হতে নির্দেশ। শিক্ষকদের আসা-যাওয়ার খরচ বহন করবে পর্ষদ। দূরের জেলাগুলোর ক্ষেত্রে ২০০০ ও কাছের জেলা থেকে যাতায়াতে ৫০০ টাকা করে দেবে পর্ষদ।এদিকে উত্তর দিনাজপুরের মতো জেলায় ওই শিক্ষকদের কোনও যোগাযোগের নম্বর নেই। তাই জেলা স্কুল পরিদর্শকরা এই রায় ওই শিক্ষকদের জানিয়ে দেবেন এমনটাই নির্দেশ এদিন দেওয়া হয় আদালতের তরফ থেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × three =