২০১৪ সালের টেট সংক্রান্ত ওই জনস্বার্থ মামলায় এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের থেকে রিপোর্ট তলব করল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী ১৫ মে’র মধ্যে রিপোর্ট জমা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২০১৬ সালে যে নিয়োগ প্রক্রিয়া হয়েছিল, সেই নিয়োগ প্রক্রিয়ার কোন অংশ নিয়ে সিবিআই তদন্ত, তা জানতে চায় প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটে পরীক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয় অনেক আগেই। সোমবার সেই মামলার শুনানি ছিল হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে।
পাশাপাশি প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ এও জানতে চান, ২৬৯ জনের বেআইনি নিয়োগের যে অভিযোগ উঠেছে, শুধু সেই অংশটুকু নিয়ে সিবিআই তদন্ত নাকি পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়েই সিবিআই তদন্ত তা নিয়েও। এই বিষয়ে রিপোর্ট আকারে সিবিআইকে জানানোর জন্য বলা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটের প্রশ্ন ভুল সংক্রান্ত মামলা প্রথমে উঠেছিল কলকাতা হাইকোর্টের একক বেঞ্চে। সেক্ষেত্রে বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ আগেই নির্দেশ দিয়েছিল ৬ নম্বর দেওয়ার। তবে সেটি শুধুমাত্র মামলাকারীদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য ছিল। পরে আরও কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী সেই নির্দেশের প্রেক্ষিতে ডিভিশন বেঞ্চে যান। তাদের দাবি ছিল, প্রশ্ন ভুল মামলায় নম্বর শুধু মামলাকারীরাই কেন পাবে। সেই মামলায় বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ সব পরীক্ষার্থীদেরই ৬ নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই প্রসঙ্গেই এদিন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের মন্তব্য, ‘সমস্ত পরীক্ষার্থীকে ৬ নম্বর দেওয়া হলে পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর বড় প্রভাব পড়বে।’