গণধর্ষণের অভিযোগের ১০ দিন পরও নেওয়া হয়নি গোপন জবানবন্দি, রিপোর্ট তলব আদালতের

গণধর্ষণের অভিযোগের ১০ দিন পরেও নেওয়া হয়নি গোপন জবানবন্দি। একইসঙ্গে হাইকোর্টের প্রশ্ন, দশদিনেও কেন পোশাক, মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়নি তা নিয়েও। আর এতেই এবার ক্ষুব্ধ আদালত। বাঁকড়াহাট গণ ধর্ষণের অভিযোগের তদন্তে কেন এমন ঘটনা ঘটল তা বিস্তারিত ভাবে জানিয়ে জেলার পুলিশ সুপারকে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। একইসঙ্গে এ নির্দেশও দেওযা হয়, মঙ্গলবারই বেলা তিনটের মধ্যে নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দি নেওয়ার ব্যাবস্থা করতে হবে পুলিশকে। এরপর বুধবার থেকে ওই নির্যাতিতার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে সিআরপিএফ বা সিআইএসএফ, পাশাপাশি এদিন এমনটাও নির্দেশ দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। এই প্রসঙ্গে বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা বিরক্তির সুরে জানান, পুলিশের এমন গা ছাড়া মনোভাব দেখে যন্ত্রণা পাচ্ছে আদালত।

একইসঙ্গে এদিন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা এও জানান, মহিলা পুলিশ ছিল কি না সে ব্যাপারেও জানাতে হবে ওই রিপোর্ট। পাশাপাশি জানাতে হবে কেন এফআইআর করতে দেরি হল তা নিয়েও। এর মধ্যে বিষ্ণুপুর থানা ও বাঁকড়াহাট আউট পোস্টের ভূমিকাও খতিয়ে দেখে জানাতে হবে আদালতকে। কারণ, অভিযোগ উঠেছে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য নির্যাতিতা মহিলাকে হুমকি দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। আগামী শুনানির আগে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করার এবং গণ ধর্ষণের ধারা যুক্ত করারও নির্দেশ দেন বিচারপতি। মহিলা পুলিশ ছিল কি না তা জানতে চাওয়ার কারণ, অভিযোগ উঠেছে, ধর্ষণের অভিযোগে মহিলা পুলিশ না থাকায় প্রথমে শুধু জেনারেল ডায়েরি করে ফেলে রাখা হয়েছিল।

এই সব যাবতীয় দিকগুলি খতিয়ে দেখে পুলিশ সুপার রিপোর্ট জমা দেবেন। এদিন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা এ প্রশ্নও তোলেন, মাত্র দু’বছর চাকরিতে যোগ দেওয়া একজন গণ ধর্ষণের মতো মামলার তদন্ত কীভাবে করছেন সে ব্যাপারেও।  এই প্রেক্ষিতে আদালত নির্দেশ দেয়, তদন্তকারী অফিসারকে সাহায্য করার জন্য এই তদন্তে কোনও সিনিয়র অফিসার নিয়োগ করতে হবে পুলিশ সুপারকে। আগামী শুক্রবার এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে। ডায়মন্ড হারবারের পুলিশ সুপার গোটা ঘটনাক্রম খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেবেন। প্রসঙ্গত, অতীতে রাজ্যে একাধিক নারী নির্যাতনের মামলা হাই কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে। বেশ কিছু ঘটনার তদন্তভার হাইকোর্ট তুলে দিয়েছিল অভিজ্ঞ আইপিএস দময়ন্তী সেনের হাতে, আবার কোনও মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়েছিল সিবিআই-এর হাতে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × five =