আদালতের নির্দেশ ফের চাকরিতে বহাল দুই শিক্ষক

চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়া ২৬৮ জন প্রাথমিক শিক্ষকের মধ্যে দু’জনকে চাকরিতে বহালের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে এটা নিঃসন্দেহে আদালতের তরফ থেকে এক নয়া সিদ্ধান্ত। উল্লেখ্য,  কয়েকদিন আগেই আদালতের তরফ থেকে ২৬৮ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই তালিকায় ছিল এই দুই শিক্ষকের নামও। অভিযোগ, একটি ভুল প্রশ্নের জন্য এক নম্বর দিয়ে তাঁদের পাশ করানো হয়।এরপরই অরুণ কারাক এবং প্রসেনজিৎ ভট্টাচার্য নামক দুই আবেদনকারী আদালতকে জানান, তাঁরা নম্বর ভুলের জন্য আগেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সেই সময় তাঁদের ছয় নম্বর বাড়ানোর নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়।এরপরেই তাঁরা নিয়োগ পান। আ এই কারণ দর্শাতেই তাঁদের পুনরায় চাকরিতে বহালের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। অর্থাৎ, তাঁদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উটেছিল তার থেকে মুক্তি পেলেন এই দুই শিক্ষক। ফলে আবারও স্কুলে যোগ দিতে পারবেন তাঁরা।একইসঙ্গে বেতনের ওপরেও রইল না কোনও নিষেধাজ্ঞা। এখন থেকে আইনানুসারে তাঁরা বেতনও পাবেন।

এদিকে রহস্য তৈরি হয়েছে এক ফোন নিয়ে। কারণ, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে চাকরি বাতিল হওয়া ২৬৮ জনের মধ্যে একজন প্রার্থীর দাবি, ‘ ২০১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর একটি ফোন নম্বর থেকে তার কাছে ফোন আসে। সেখানে অপর প্রান্তে থাকা এক কণ্ঠস্বর বলে সে পর্ষদের অফিস থেকে ফোন করছে এবং নিয়োগপত্রের জন্য সে যেন পর্ষদ সভাপতির থেকে নিয়োগপত্র সংগ্রহ করে।’ কে এই ফোন করেছিল তা নিয়ে  শুরু হয়েছে জল্পনা. বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য সিবিআইকে নির্দেশও দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

7 + three =