জাল নিয়োগপত্র নিয়ে চাকরির ঘটনায় তদন্তভার সিআইডির হাতেই

সিআইডির হাতে দেওয়া হবে তদন্তভার এমন ইঙ্গিত বুধবারই দিয়েছিলেন বিচারপতি বসু। বৃহস্পতিবার একেবারে তদন্তভার তুলেই দেওয়া হল রাজ্য গোয়েন্দা দপ্তরের হাতে। মুর্শিদাবাদের এক স্কুলে নিয়োগপত্র জাল করে বাবার স্কুলে ছেলের চাকরি করার ঘটনায় আদালতের তত্ত্বাবধানে বৃহস্পতিবার ডিআইজি-সিআইডি-কে তদন্তের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। একইসঙ্গে আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে এই মামলায় প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতেও নির্দেশ দেওয়া হয় রাজ্য সরকারের গোয়েন্দা দপ্তরকে। পাশাপাশি বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু জানিয়েছেন, আপাতত গোথা স্কুলের ভূগোলের শিক্ষক অনিমেষ তিওয়ারি আর স্কুলে ঢুকতে পারবেন না। বন্ধ থাকবে তাঁর বেতনও।

উল্লেখ্য, বুধবারই এই ঘটনায় সিআইডি-র হাতে যে তদন্তভার তুলে দেওযা হতে পারে তার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। সেই মর্মে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ কলকাতা হাইকোর্টে তাঁর এজলাসে তলব করা হয় ডিআইজি-সিআইডিকে। তিনি এসে তদন্তে সম্মতি দেওয়ায় সিআইডি-র ওপরই এই ভুয়ো শিক্ষক নিয়োগ মামলার তদন্ত দেওয়া হয়।

সূত্রে খবর, ১৫ দিনের মাথায় এই মামলার রিপোর্ট জমা করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদ জেলার গোথা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারি। আবার সেই স্কুলের ভূগোলের অধ্যাপক হিসেবেই কাজ করছেন পুত্র অনিমেষ তিওয়ারি। এই কাণ্ড দেখে নিয়োগ দুর্নীতিতে এক নয়া মাত্রা দেয় বলেই ধারনা, অনেকেরই। প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে, অন্য কারও নিয়োগপত্র জাল করে নিজের নামে চালিয়ে এই চাকরি পেয়েছেন অনিমেষ তিওয়ারি। একজনের সুপারিশপত্র নিয়ে অন্যজন কী ভাবে চাকরিতে বহাল রয়েছেন, তা জানতে এবার সিআইডিকে তদন্ত করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এই নিয়ে মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থারও।

অন্যদিকে, গোটা ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয় মধ্যশিক্ষা পর্যদের তরফ থেকেও। পর্ষদের তরফ থেকে জানানো হয়, আতাউর রহমান নামে এই চাকরির নিয়োগপত্র তৈরি হয়েছিল। কোনও অনিমেষ তিওয়ারির নাম সেই নিয়োগপত্রে ছিল না। সাধারণত প্রত্যেক নিয়োগপত্রে একটি মেমো নম্বর থাকে। অভিযোগ, সেই মেমো নম্বর এক রেখে অনিমেষ নিজের নাম বদলে দেন নিয়োগপত্রে। ফলে অনুমান করা হচ্ছে, এই নিয়োগপত্র সম্পূর্ণ জাল। এ ক্ষেত্রে ওই স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নিয়েও ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে বলে মন্তব্য হাইকোর্টের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

six + four =