বাংলাদেশি জঙ্গিদের আধার তথ্য দিতে হবে আধার কার্ড কর্তৃপক্ষকে, নির্দেশ আদালতের

বাংলাদেশ থেকে ফেরার পাঁচ জঙ্গিকে নিয়ে সমস্যায় পড়েছিল কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। কারণ, আধার কার্ড কর্তৃপক্ষের কাছে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ জানতে চায় তারা জাল আধার কার্ড কোন নথির ভিত্তিতে তৈরি করেছেন তার তথ্য। তবে এ ব্যাপারে উদাসীন থাকতে দেখা যায় আধার কার্ড কর্তৃপক্ষ ইউআইডিএআই-কে। এই ঘটনায় কলকাতা মামলা দায়েরও করা হয়েছিল এসটিএফ-এর তরফে। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের সেই মামলায় মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি স্পষ্ট নির্দেশ দেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব কলকাতা পুলিশকে ওইসব নথিসহ বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে আধার কার্ড কর্তৃপক্ষ ইউআইডিএআই-কে।’ হাইকোর্টের এদিনেরএই নির্দেশ কলকাতা এসটিএফ-এর একরকম জয় বলেই মনে করছেন আধিকারিকেরা।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ থেকে ফেরার পাঁচ জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নাশকতার ঘটনায় যুক্ত ছিল। এমনকী কারও বিরুদ্ধে বাংলাদেশে ফাঁসির নির্দেশও রয়েছে। এদিকে কোনওভাবে সীমান্ত টপকে তারা এদেশে ঢুকে পড়ায় সমস্যা বাড়ে। শুধু তাই নয়, পালিয়ে এদেশে ঢুকে তারা আধার কার্ডসহ একাধিক জাল নথি তৈরি করে। সেই জাল নথি কাজে লাগে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও খুলে ফেলে তারা। এরপর এই জঙ্গিরা এদেশে গ্রেফতার হওয়ার পরই আদালতের দ্বারস্থ হয় পুলিশ। এসটিএফ-র তরফে অভিযোগ করা হয়, কী ভাবে বাংলাদেশি জঙ্গিরা আধার কার্ড তৈরি করল, তারা কোনও তথ্য দিচ্ছে না আধার কার্ড কর্তৃপক্ষ বা ইউআইডিএআই। ফলে তদন্তে এগোনো যাচ্ছে না।

এরই পাশাপাশি জঙ্গিদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এসটিএফ-এর তরফ থেকে এও জানানো হয়, ভুয়ো নথি দিয়ে খোলা বাংলাদেশি জঙ্গিদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের আসা টাকা সন্ত্রাসবাদ ছড়াতে ব্যবহার করা হচ্ছে। আদালতকে এসটিএফ এও জানায়, এই জঙ্গিরা আরও একবার এদেশ থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলে তাদের আর কোনওভাবেই ধরা যাবে না।

এদিন শুনানির পর কার্যত আধার কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তোলে আদালত। কোন নথির ভিত্তিতে জঙ্গিরা আধার কার্ড পেল, তার প্রাথমিক কোনও তথ্য আধার কর্তৃপক্ষ দেয়নি বলেই জানিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে কোনও নথি দেওয়া হয়নি কলকাতা পুলিশের এসটিএফকেও।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি শহর কলকাতা থেকে ৭ জনকে গ্রেফতার করে এসটিএফ। কোকেনসহ ওই সাত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানা গিয়েছে। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে ওই সাত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে এসটিএফ। তাদের থেকে মোট ১৬৫ গ্রাম মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে উদ্ধার হওয়া কোকেনের মোট বাজারমূল্য ৩৫ লাখ টাকা। কড়া নজরদারির সময় ওই সাতজন পুলিশের হাতে ধরা পড়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × three =