মুর্শিদাবাদের রানিনগর পঞ্চায়েতের স্থায়ী সমিতির বোর্ড গঠন নিয়ে ছড়িয়েছিল উত্তেজনা।শাসকদলের বিরুদ্ধে বোর্ড গঠনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিল কংগ্রেস। এরপর এই ঘটনাতেই আদালতের দ্বারস্থ হয় কংগ্রেস। কংগ্রেসের আর্জি শুনে রানিনগরে বোর্ড গঠনে আগেই স্থগিতাদেশের নির্দেশ দেয় আদালত। এই মামলারই শুনানি ছিল শুক্রবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে। আর শুনানিতে কবে রানিনগরের স্থায়ী সমিতির নির্বাচন করা সম্ভব, এদিন তা রাজ্যের কাছে জানতে চাইল আদালত। এই সময় জানানোর জন্য ১৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রাজ্যকে সময়ও বেঁধে দিয়েছে আদালত। প্রসঙ্গত, ১১ সেপ্টেম্বর রানিনগর পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতির বোর্ড গঠন হওয়ার কথা ছিল।
শুক্রবার সওয়াল জবাবের পর বোর্ড গঠনের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। আদালত স্থগিতাদেশ জারি করা জানিয়ে দেয় আগামী ২০ সেপ্টেম্বর অবধি সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত করা যাবে না। আদালতের এই সিদ্ধান্তে স্বাভাবিকভাবে উচ্ছ্বসিত হয় কংগ্রেস শিবির। বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী আদালতের নির্দেশের পর বলেন, ‘বিচার ব্যবস্থার আমরা কৃতজ্ঞতা জানাই। তৃণমূলের মানুষের মতামতকে কোনও গুরুত্ব দেয় না। ঝালদা পুরসভা দখলের পর রানিনগরের পঞ্চায়েত সমিতি দখলের চেষ্টা করা হচ্ছে।’
এখানে বলে রাখা শ্রেয়, রানিনগর-২ পঞ্চায়েত সমিতিতে মোট ২৭টি আসন রয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে রানিনগরের ১৩টি আসনে জয়ী হয় তৃণমূল। বাকি ১৪টি আসনে বাম কংগ্রেস প্রার্থীরা জয়ী হয়। কিন্তু বোর্ড গঠনের দু’দিন আগে বিরোধী শিবির থেকে জয়ী ২ সদস্যকে জোর করে তৃণমূলে যোগদান করার অভিযোগ তোলা হয় কংগ্রেসের তরফে। এমনকী অন্যদেরও ভয় দেখানোর অভিযোগ ওঠে।
বোর্ড গঠনের আগেই রানিনগরে যান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। কংগ্রেস নেতার সভার পরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। কংগ্রেস কর্মীদের বিরুদ্ধে রানিনগর থানায় চড়াও হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। থানায় ভাঙচুর ও রাস্তায় অগ্নিসংযোগের অভিযোগ ওঠে। সভাপতি সহ মোট ৩৬ জনকে গ্রেফতার করা হয় এই ঘটনায়। থানায় অশান্তির ঘটনার পর প্রকাশ্যে ক্ষমা চান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। এরপরই আদালতের দ্বারস্থ হয় কংগ্রেস।