মৈত্র কমিটির থেকে একজন সদস্যকে বদল করার জন্য কলকাতা হাই কোর্টের কাছে আবেদন জানিয়েছিল স্কুল শিক্ষা দপ্তর। কিন্তু স্কুল শিক্ষা দপ্তরের এই প্রস্তাব তৎক্ষণাৎ নাকচ করে দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এরইসঙ্গে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এও জানান, ‘এই মৈত্র কমিটির সিদ্ধান্ত ‘ইতিহাস’ হয়ে থাকবে।‘
প্রসঙ্গত, মৈত্র কমিটিতে যে সদস্যরা রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন কৌশিক চক্রবর্তী। তাঁকে পদন্নোতি দিয়ে স্থানান্তর করার আবেদন জানানো হয় স্কুল শিক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে। তবে মৈত্র কমিটির থেকে কৌশিক চক্রবর্তীকে বদল করার আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চের নির্দেশ, কৌশিক চক্রবর্তীকে পদন্নোতি দেওয়া হোক। কিন্তু তিনি কমিটির সদস্য হিসেবে কাজ চালিয়ে যাবেন।
প্রসঙ্গত, নিয়োগের ক্ষেত্রে সব চাকরিপ্রার্থীদের জন্য সম নম্বর মূল্যায়ন কীভাবে করা হবে তা ঠিক করতেই গড়া হয় মৈত্র কমিটি। সূত্রের খবর, কমিটির কাজ অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে। এই মুহূর্তে কমিটি সদস্য বদল করলে সমস্যা বাড়বে। উল্লেখ্য, বিগত এক দশকে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকে বেড়েছে গড় নম্বরের হার। সেক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ছেন আগে পাশ করা চাকরিপ্রার্থীরা।
উল্লেখ্য, অতীতে যা পদ্ধতিতে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা হত, তার থেকে বর্তমান সময়ে পরীক্ষার ধরণ অনেকটাই বদলে গিয়েছে। বদলেছে সিলেবাস, প্রশ্নের ধরনও। আর এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নতুন যাঁরা পাশ করছেন, তাঁদের প্রাপ্ত নম্বরের গড়ও অতীতে পাশ করা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের তুলনায় অনেকটা বেশি। উদাহরণ হিসেবে, আগে যেখানে নবম-দশম একসঙ্গে নিয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষা হত, এখন তা বদলে গিয়ে শুধু দশম শ্রেণির সিলেবাস নিয়েই মাধ্যমিক হয়। উচ্চমাধ্যমিকের ক্ষেত্রেও আগে প্র্যাক্টিকাল ছাড়া অন্যান্য বিষয়ে আলাদা করে পরীক্ষার কোনও ভাগ থাকত না। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সব বিষয়েই ২০ নম্বরের প্রোজেক্ট শুরু হয়। এমন বিভিন্ন ক্ষেত্রে বদলেছে পরীক্ষার ধরণ।