সপ্তাহের প্রথম দিন প্রবল উত্তেজনা কলকাতা হাই কোর্টে। এদিন সকালেই বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাস বয়কট করেন তৃণমূলপন্থী আইনজীবীরা।তাঁদের অভিযোগ, বিচারপতি মান্থা একনায়কের মতো আচরণ করছেন।বিচারপতির এজলাসে কোনও আইনজীবীকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে খবর। শুধু তাই নয়, আটকে রাখা হয় কক্ষের গেটও। কোনওরকম আগাম ঘোষণা ছাড়া এই ধরণের কর্মসূচিতে শোরগোল পড়ে আদালত চত্বরে। জানা গিয়েছে, গোটা ঘটনায় ক্ষুব্ধ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি।অ্যান্টর্নি জেনারেলকে ডেকে এই নিয়ে কার্যত ধমকও নাকি দেন তিনি। এই ঘটনায় প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, ‘যাঁরা এইভাবে বিচারপতির এজলাস বন্ধ করে রেখেছেন, আদালত তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে সামলাতে পারবেন তো?’ একইসঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব গোটা ঘটনা শুনে জানান, ‘এই ভাবে চলতে পারে না।এরপর আমরা কোনও পদক্ষেপ করলে তারা কি করবে? সেটা ভেবে দেখতে বলুন।’ প্রশ্ন তোলেন বার অ্যাসোসিয়েশনের কি করছে তা নিয়েও। এরই প্রেক্ষিতে প্রাধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এও জানান, ‘প্রেসিডেন্টকে দেখা করতে বলুন।’ এরপর অ্যান্টর্নি জেনারেল তাঁর এজলাসে এসে জানান, তিনি সবেমাত্র বিষয়টি জানতে পেরেছেন। প্রধান বিচারপতির কথা শোনার পর তিনি বিক্ষোভরত আইনজীবীদের জানান, ‘এটা ভালো হচ্ছে না।এগুলো করা উচিত নয়।’ পাশাপাশি অবস্থান বিক্ষোভ তুলে নেওয়ারও অনুরোধ করেন। এও জানান, প্রধান বিচারপতি একটি নির্দিষ্ট সময় দিয়েছেন। তার মধ্যে বিক্ষোভ তুলে না নিলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান তিনি।
এদিকে আদালত সূত্রে খবর, এদিন কলকাতা হাইকোর্টের ১৩ নম্বর আদালত কক্ষের বাইরে প্ল্যাকার্ড হাতে বয়কট কর্মসূচিতে অংশ নেন তৃণমূলপন্থী আইনজীবীরা। বিচারপতি মান্থার এজলাসে বিচারপ্রক্রিয়া স্তব্ধ করে দেওয়ার ঘটনা নিয়ে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন কেন্দ্রের ডেপুটি সলিসিটর জেনারেল বিল্বদল ভট্টাচার্য এবং আইনজীবী শ্রীজীব চক্রবর্তী। পাশাপাশি আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য প্রধান বিচারপতির এজলাসে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে নিন্দা প্রকাশ করেন। তাঁর আবেদন, ‘বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিকে ডেকে প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টে বিষয়টি তোলা হোক।’ এদিকে আবার তৃণমূলপন্থী বিক্ষোভকারী আইনজীবীদের একাংশ পালটা এজিকে জানান, ‘অনেক মামলায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।পুনরায় মামলা খারিজ হয়ে গেলে তখন তার দায়িত্ব কে নেবে?’