হাওড়ার ৪০০ কোটি কেলেঙ্কারি মামলায় এবার ইডি-র হাতে তদন্তভার তুলে দিল কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্ক ঘোষের বেঞ্চ। শুধু তাই নয়, বৃহস্পতিবার আদালত চত্বরেই গ্রেপ্তার করা হয় এই মামলায় অভিযুক্ত ব্যবসায়ী শৈলেশ পাণ্ডে এবং তাঁর সহযোগী প্রসেনজিৎ দাসকে। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনের চোখ এবং শর্ত ফাঁকি দিয়ে নিম্ন আদালত থেকে জামিন নেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০২২ এর অক্টোবর মাস নাগাদ হাওড়ার ব্যবসায়ী শৈলেশ পাণ্ডের বাড়ি থেকে আট কোটিরও বেশি টাকা উদ্ধার হয়।এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয় চারজনকে। তবে সম্প্রতি নিম্ন আদালত থেকে জামিন পেয়ে যান শৈলেশ এবং তাঁর সহকারী প্রসেনজিৎ।এরপরই এই ঘটনায় জামিনের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চে। এদিনের এই শুনানিতে দুই অভিযুক্তকেই হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এরপর দুই অভিযুক্তের উপস্থিতিতেই নিম্ন আদালতের রায় খারিজ করেন বিচারপতি তাীর্থঙ্কর ঘোষ।এরপরই আদালত থেকেই তাঁদেরকে হেফাজতে নেওয়ার জন্যই ইডি-আধিকারিকদের নির্দেশ দেন তিনি।এই নির্দেশ অনুসারে এদিন আদালত চত্বর থেকেই গ্রেপ্তার করা হয় ব্যবসায়ী শৈলেশ পাণ্ডে এবং প্রসেনজিৎ দাসকে। এরপরই এদিন বিকেল ৩টের মধ্যে তাঁদের ফের একবার নিম্ন আদালতে পেশ করার নির্দেশ দেন বিচারপতি ঘোষ।
প্রসঙ্গত, হাওড়ার মন্দিরতলার অপ্রকাশ মুখার্জি লেনের বাসিন্দা ব্যবসায়ী শৈলেশ পাণ্ডে। গত বছর অক্টোবর মাসে তাঁর বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। দু’দিনের অভিযানে উদ্ধার হয় নগদ ৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা। বাজেয়াপ্ত করা হয় প্রচুর সোনা এবং হিরের গয়নাও।তখনই তদন্তকারী আধিকারিকেরা জানান, একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে বিপুল আর্থিক লেনদেন দেখেই এই ব্যবসায়ীর উপর সন্দেহ তৈরি হয় কর্তৃপক্ষের। তাঁরা বিষয়টি জানান হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশকে। তার ভিত্তিতেই অভিযান চালানো হয় শৈলেশের বাড়িতে। পরে সেই মামলার তদন্তের ভার নেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এরপরই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা তদন্ত চালিয়ে আরও ১৭টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ পান। সেখান থেকে ২০৭ কোটি টাকা লেনদেনের হদিশ মেলে। বর্তমানে তদন্ত উঠে আসে এই দুর্নীতি মামলার জাল বহুদূর বিস্তৃত। সামনে আসে প্রায় ৪০০ কোটি টাকার দুর্নীতি।