ক্ষেতমজুর সমিতি সহ মনরেগার একাধিক সংগঠনকে অবস্থান বিক্ষোভের অনুমতি আদালতের

১০০ দিনের কাজের টাকা দেওয়া হচ্ছে না বলে বারবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে রাজ্য সরকার। বঞ্চনার অভিযোগ তুলে ধরনায়ও বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার সেই শ্রমিকেরাই অবস্থানে বসতে চলেছেন।কারণ, মনরেগার অধীনে কর্মরত ওই শ্রমিকেরা দীর্ঘদিন ধরে বেতন পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। বকেয়া বেতন ও স্থায়ীকরণের দাবিতে শহিদ মিনারে অবস্থানে বসতে চান তাঁরা। এই দাবি নিয়ে একেবারে পৌঁছেও গেলেন আদালতের কাছে। এরপরই এই ক্ষেতমজুর সমিতি সহ একাধিক সংগঠনের বক্তব্য শুনে বিক্ষোভের অনুমতিও দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। এদিকে সূত্রে খবর, একটানা ১২ দিন অবস্থান বিক্ষোভের পর অবস্থান বিক্ষোভের অনুমতি মেলে আদালতের তরফ থেকে।
একইসঙ্গে মামলাকারীরা এও জানান, দীর্ঘ ১৬ মাস ধরে তাঁদের বেতন বন্ধ রয়েছে। তাঁদের স্থায়ীকরণের জন্য কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ। পুলিশের কাছে অবস্থানের অনুমতি জানানো হলেও, তা খারিজ করে দেওয়া হয়। এরপরই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁরা। সেই মামলাতেই মঙ্গললবার এই নির্দেশ দেয় আদালত।
এদিনের এই নির্দেশের পাশাপাশি বিচারপতি মান্থা এও জানান, সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত অবস্থানে বসতে পারবেন শ্রমিকেরা। প্রাথমিকভাবে কলকাতা পুরসভার পাশেই অবস্থানে বসার অনুমতি চেয়েছিলেন মামলাকারীরা। কারণ, শহরের প্রাণকেন্দ্রে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে চান তাঁরা। যদিও সেই আবেদনে মান্যতা দেয়নি আদালত।একইসঙ্গে আদালতের তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে যে, পুলিশের দেওয়া শর্ত মেনে করতে হবে আন্দোলন। শর্ত না মানলে পুলিশ পদক্ষেপ করতে পারবে পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × two =