কলকাতা এবং বিধাননগরের হুক্কাবারগুলি চালু রাখা নিয়ে সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দিল না কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। ২০২২-এর ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম হুক্কাবার বন্ধ করার ব্যাপারে ঘোষণা করেন। কারণ, হিসেবে কলকাতা পুরসভার মেয়র জানান, বহু তরুণ-তরুণী এই হুক্কা পার্লারগুলিতে গিয়ে আসক্ত হয়ে পড়ছেন। আর এই বিষয়টিকে সামনে রেখে তিনি জানিয়েছিলেন, কলকাতায় হুক্কা পার্লারগুলি বন্ধ করে দেওয়া হবে। এই বিষয়ে পুলিশি সহায়তাও চান তিনি।
এদিকে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের এই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে আদালতের দ্বারস্থ হয় অ্যাসোসিয়েশন অফ রেস্টুরেন্ট। তাদের বক্তব্য ছিল, পুর আইনে কোথাও হুক্কা বার বন্ধ করার কথা বলা নেই। সেক্ষেত্রে অ্যাসোসিয়েশন অফ রেস্টুরেন্ট-এর তরফ থেকে এ প্রশ্নও তোলা হয়, কেন পুরসভার অর্ডার দেখাচ্ছে পুলিশ তা নিয়েও। পাশাপাশি তাদের তরফ থেকে এ দাবিও করা হয়, হুক্কা পার্লারগুলি কোনও পুর আইন ভঙ্গ করছে না।
এরপরই কীসের প্রেক্ষিতে হুক্কা বার বন্ধ করা হচ্ছে, তা জানতে চান বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। শুধু তাই নয়, কলকাতা এবং বিধাননগরের হুক্কা বারগুলি বন্ধ রাখা যাবে না, নির্দেশও দেয় আদালত। এরপরই রাজাশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় কলকাতা পুরসভা। তবে বুধবার সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। এদিকে আদালত সূত্রে খবর, এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৬ সপ্তাহ পর।