কালিয়াগঞ্জ কাণ্ডে সিট গঠনের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করল হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই নির্দেশ জারি থাকবে বলেই জানায় প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ। এর আগে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার একক বেঞ্চ কালিয়াগঞ্জ কাণ্ডে সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিন সদস্যের ওই বিশেষ তদন্তকারী দলে আইপিএস দময়ন্তী সেন ছাড়াও ছিলেন দুই অবসরপ্রাপ্ত অফিসার। রাজ্যের প্রাক্তন আইজি পঙ্কজ দত্ত ও প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন্দ্রনাথ বিশ্বাস। তবে অবসরপ্রাপ্ত অফিসারদের নিয়ে এভাবে সিট গঠন করার বিরোধিতা করে রাজ্যের তরফে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করা হয়। রাজ্যের মূল বক্তব্য ছিল, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী কোনও অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার তদন্ত করতে পারেন না। এই দাবি নিয়েই একক বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেছিল রাজ্য।
বুধবার সেই মামলার শুনানির সময় প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রয়েছে, শুধুমাত্র বিরল মামলার ক্ষেত্রেই সিট গঠন করা যায়। কিন্তু শুধুমাত্র সন্দেহের জন্য কোনও বিচারপতি প্রাক্তন অফিসারদের দিয়ে সিট গঠন করতে পারেন না। আগামী ২৩ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।
বুধবার আদালতে রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় জানান, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রয়েছে, অত্যন্ত বিরল মামলা ছাড়া এইভাবে প্রাইভেট তদন্তের নির্দেশ দেওয়া যায় না। পাশাপাশি এ অভিযোগও জানান, সিটের সদস্যদের কেউ আবার টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন। একইসঙ্গে অভিযোগ জানাচ্ছেন রাজ্যের বিরুদ্ধে। রাজ্যের তরফেও এদিন আদালতে জানানো হয়, দু’জন অবসরপ্রাপ্ত অফিসারের বিরুদ্ধেই এই ধরনের অভিযোগ তোলা হয় এবং তাঁদের তদন্তের কাজে ব্যবহার না করার আবেদনও জানানো হয়।
এরইপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানতে চায়, কাদের কথা বলা হচ্ছে সে ব্যাপারেও। জানতে চাওয়া হয়, কারা টেলিভিশনে গিয়ে কথা বলছেন সে ব্যাপারে। এরপরই আদালত মৌখিকভাবে রীতিমতো ভর্ৎসনার সুরে বলেন, ‘তাঁদের পেনশনগুলি কি ফেরত দিয়ে দিতে নির্দেশ দেব?’