রাজ্য দমকল বিভাগে ফায়ার অপারেটর নিয়োগ নিয়ে বড় রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বীরভূম জেলায় অক্সিলিয়ারি ফায়ার অপারেটর পদে নিয়োগ হওয়া ২৫ জনের চাকরি বাতিল করল আদালত। তবে এদিনের এই রায়ে অক্সিলিয়ারি ফায়ার অপারেটর নিয়োগের পদ্ধতি নিয়ে কার্যত প্রশ্ন তুলে দিল আদালত। এই মামলার রায়দানের পর নিয়োগ পদ্ধতি নিয়ে কার্যত প্রশ্ন তুলেছে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের বক্তব্য ‘দমকলের মতো একটা গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে যেখানে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে স্থায়ী নিয়োগ হয়, সেখানে এমন অস্থায়ী নিয়োগ যথাযথ নয়। পাশাপাশি এটা স্বাভাবিক ন্যায় বিচারের পরিপন্থী।’
এর আগে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে একের পর এক তাৎপূর্য রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালত বেনিয়ম করে চাকরি পাওয়া অনেক অযোগ্য প্রার্থীর চাকরি বাতিল হয়। আদালতের নির্দেশে পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নামে সিবিআই।
প্রসঙ্গত, বীরভূমে অক্সিলিয়ারি ফায়ার অপারেটর পদে বেআইনিভাবে ২৫ জনকে নিয়োগের অভিযোগে মামলা হয়। বৃহস্পতিবার আদালতে সেই মামলার শুনানি ছিল। এরপরই এদিন শুনানির পর তাঁদের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ। ২০১৭ সালে অক্সিলিয়ারি ফায়ার অপারেটর পদে নিয়োগের যে সিদ্ধান্ত রাজ্য নিয়েছিল, আদালতের এই নির্দেশের ফলে সবার চাকরির ভবিষ্যতই প্রশ্নের মুখে পড়ে গেল বলে মনে করছে আইনজীবী মহলের একাংশ।
বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণার পর বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ একটি বিষয় সরকারি আইনজীবীকে স্পষ্ট করে দেন। আদালত জানিয়েছে, এই নির্দেশ বীরভূমের মামলায় ক্ষেত্রে দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্ট আরও জানিয়েছে, অন্য কোনও জেলায় যদি এমন পদে নিয়োগ হয়ে থাকে তবে সেই নিয়ে সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারকেই নিতে হবে।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি রাজ্যের অন্যতম জ্বলন্ত ইস্যু। ইতিমধ্যেই আদালতের রায়ে অনেক অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীর চাকরি বাতিল হয়েছে। এদিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে একাধিক শাসকদলের নেতা-সাংসদ এই মুহূর্তে জেলে বন্দি। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে বুধবার সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বুধবার অভিষেকে প্রায় নয় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। ম্যারাথন জেরা শেষে বাইরে বেরিয়ে এসে বিজেপি সরকার ও তার প্রতিহিংসামূলক আচরণের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড। একইসঙ্গে তাঁর দাবি, তিনি কোনও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নন। তাঁর বিরুদ্ধে ইডির কাছে কোনও প্রমাণ নেই বলেও দাবি করেন অভিষেক।