হুগলি জেলার আরামবাগ মহকুমার নদীবাঁধ এলাকায় বাঁধাকপির চাষ অর্থনৈতিক ভাবে স্বয়ং সম্পূর্ণ হতে দিশা দেখাচ্ছে কয়েক হাজার চাষিকে। এই মহকুমার ছয়টি ব্লকের মধ্যে পাঁচটি ব্লকের নদীবাঁধ এলাকাতেই কয়েকশো একক জমিতে বাঁধাকপি চাষ হয়।
উল্লেখ্য, আরামবাগ মহকুমা দ্বারকেশ্বর, দামোদর ও মুন্ডেশ্বরী নদী দিয়ে ঘেরা। আর এই জন্য নদীবাঁধ সংলগ্ন স্থানে শীতের মরসুমে প্রচুর পরিমাণে বাঁধা কপি ও ফুলকপি চাষ হয়। তবে এই বছর ব্যাপক পরিমাণে বাঁধাকপি চাষ দেখা যায়। খানাকুলের ঘাশুয়া, চিংড়া, নতিবপুর, জগৎপুর এলাকার বাঁধাকপির উৎপাদন এক নতুন দিশা দেখাচ্ছে বলে মনে করছে কৃষকরা। লক ডাউনের ফলে পরিবেশে পরিবর্তন এসেছে। পরিবেশ অনেকটাই দূষণমুক্ত হয়েছে। তাছাড়া শীতের আমেজও হাল্কা থাকায় ফলন বেশি হচ্ছে। এই বিষয়ে খানাকুলের ঘাশুয়া এলাকার এক কৃষক জানান, এই বছর প্রকৃতি দুই হাত ভরে বাঁধাকপি দিয়েছে। পরিবেশ দূষণমুক্ত হওয়ায় চাষ খুব ভালো হচ্ছে। এখানকার বাঁধাকপি সারা রাজ্য ব্যাপী রপ্তানি হয়। অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আরামবাগ মহকুমার বাঁধাকপি প্রতি বছরই একটা জায়গায় থাকে। আমাদের নদী বাঁধ এলাকার সুস্বাদু কপির চাহিদা সবচেয়ে বেশি। কেননা এখানে সারে প্রয়োগ কম হয়। মাটি খুব ভালো হওয়ায় সার বেশি লাগে না। এখান থেকে বর্ধমান, হাওড়া, কলকাতা, তারকেশ্বর, চুঁচড়া, মেদিনীপুর-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় যায়।
অপরদিকে আরামবাগের সালেপুর দুই নম্বর অঞ্চলের কৃষকরা জানান, এই বছর ফুলকপির থেকে বাঁধাকপির উৎপাদন বেশি হয়েছে। আর এই কপি সহজে বাজার জাত করায় চাষিরা অন্যান্য বছরের তুলনায় অর্থনৈতিক ভাবে উপকৃত হন। চাষিরা কপি চাষ করে অনেকটাই লাভবান হবেন। সবমিলিয়ে এই বছর আরামবাগের নদীবাঁধ এলাকার বাঁধাকপির চাষ উজ্জীবিত করছে কয়েক হাজার চাষিকে।