ঋদ্ধির মান ভাঙাতে আসরে সিএবি, ফোন করলেন কোচ অরুণ লাল

ঋদ্ধিমান সাহা বিতর্কে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে পড়ল সিএবি। মঙ্গলবার সিএবি প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়াকে ফোন করে ক্ষুব্ধ ঋদ্ধিমান জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, তিনি বাংলার হয়ে আর খেলতে চান না। সিএবি তাঁকে ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ দিয়ে দিক।

বুধবার সিএবি ফের বরফ গলাতে নামে বলে সূত্রের খবর। ঋদ্ধির সঙ্গে ফোনে কথাও হয় কোনও কোনও সিএবি কর্তার। যার পর সিএবি আশাবাদী, যে ঋদ্ধিমানের মন পরিবর্তন করা গেলেও যেতে পারে। কারণ সিএবি কর্তারাও ভাল করে বুঝতে পারছেন যে, ঋদ্ধিমান বাংলা ছেড়ে চলে গেলে বঙ্গ ক্রিকেট সংস্থাকেই লজ্জায় পড়তে হবে। এমনকী ঋদ্ধির মান ভাঙতে আসরে নামলেন বাংলা কোচ অরুণ লালও। তিনি বোঝানোর চেষ্টা করেন। বঙ্গ কোচ নাকি ঋদ্ধিকে বলেন, যে আরও একবার সিদ্ধান্তটা ভেবে দেখার জন‌্য। তবে ঋদ্ধিমানের ঘনিষ্ঠমহলে খবর নিয়ে যা জানা গেল, তাতে ঋদ্ধি নিজের স্টান্সে এখনও অনড়।

আসলে সোমবার রনজি ট্রফি কোয়ার্টার ফাইনাল পর্বের জন্য দল বেছে নিয়েছে বাংলা। যেখানে মহম্মদ শামি ও ঋদ্ধিমান সাহা- দু’জনকেই রাখা হয়। শামিকে রাখা হয় বোর্ড ছাড়পত্রের শর্তসাপেক্ষে। সিএবি আগাম ঠিক করেছিল যে, ঋদ্ধিমান ও শামি- দু’জনকেই নকআউট পর্বে খেলানোর চেষ্টা করা হবে। কর্তারা এটাও বলেছিলেন যে, দু’জনকেই ফোন করা হবে। কিন্তু শামিকে ফোন করে কথা বলা হলেও ঋদ্ধিমানের সঙ্গে কোনও কথা বলা হয়নি। কথা না বলেই ঋদ্ধিকে টিমে রেখে দেওয়া হয়।

ঋদ্ধিমান যা ভালভাবে নেননি। অপমানিত বোধ করে তিনি জানিয়ে দেন, বাংলার হয়ে আর খেলবেন না। ১৫ বছর বাংলার হয়ে খেলার পর তাঁকে বাংলার প্রতি দায়বদ্ধতা নিয়ে কথা শুনতে হয়েছে। যে তাঁকে কথা শুনিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না করা হলে তাঁর অবস্থান বদলাবে না। তারপরই খানিকটা নরম হয়েছে সিএবি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nine − five =