নিজস্ব প্রতিবেদন, হুগলি: দুর্গাপুজোর তোড়জোড় শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। আর পুজো মানেই ঠাকুর দেখার প্ল্যানিং। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কলকাতা এসে পুজো দেখেন বহু মানুষ। পায়ে হেঁটে মণ্ডপ দর্শন চলে গভীর রাত পর্যন্ত। তাই ওই কয়েকটা দিন যানবাহনের ক্ষেত্রেও থাকছে বিশেষ গুরুত্ব। রাতে ফেরার সময় যাতে সাধারণ মানুষের কোনও অসুবিধা না হয়, সে জন্য সারা রাত পরিবহণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল আগের বছর। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না বলেই জানালেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, শহরের পাশাপাশি গ্রামের পুজো পরিক্রমার ক্ষেত্রেও গুরুত্ব দেওয়া হবে।
হুগলিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মন্ত্রী জানিয়েছেন, পুজোর সময় সারা রাত বাস চলবে কলকাতায়। বাড়তি বাস নামানো হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। মন্ত্রী জানান, রাতে পায়ে হেঁটে দূরের স্টেশনে ফেরার দরকার হবে না। শুধু কলকাতা নয়, শহরতলিতে যে সব জায়গায় বড় পুজো হয়, সেখানেও সারা রাত যাতে বাস চলে, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে। এদিন পুজো উপলক্ষে এক প্রশাসনিক ও সমন্বয় বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল চুঁচুড়ার রবীন্দ্র ভবনে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। সেখানেই তিনি সাংবাদিকদের জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন যাতে পুজোর সময় বেশি সংখ্যক বাস চালানো যায়। যাঁরা প্রবীণ নাগরিক, তাঁদের জনপ্রিয় পুজোগুলো দেখানোর জন্য পরিবহণ দপ্তর থেকেই ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। কলকাতার পাশাপাশি পুজো পরিক্রমার ব্যবস্থা থাকবে শিলিগুড়ি, আসানসোলের মতো শহরেও। আর থাকবে দর্শনার্থীদের জন্য বিভিন্ন প্যাকেজের বন্দোবস্তও।