কৃষ্ণনগরে উদ্ধার তরুণীর অগ্নিদগ্ধ দেহ, পাকড়াও প্রেমিক

নদিয়া : নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগরে এক তরুণীর অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার করলো পুলিশ। বুধবার সকালে কৃষ্ণনগরের কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত রামকৃষ্ণ আশ্রমপাড়া এলাকায় উদ্ধার হয় ওই তরুণীর অগ্নিদগ্ধ দেহ। এদিন সকালে দেহটি পুজো মণ্ডপের বাইরে পড়ে থাকতে দেখেন এলাকার লোকজন। স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন, ততক্ষণে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বুধবার সকালে কৃষ্ণনগর জেলা পুলিশ সুপারের অফিসের অদূরেই ওই তরুণীর দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। আশ্রমপাড়া বারোয়ারির ঠিক উল্টো দিকে পথেই পড়ে ছিল তরুণীর অর্ধদগ্ধ দেহ। তরুণীর মুখ দগ্ধ অবস্থায় ছিল বলে জানা গিয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, মঙ্গলবার গভীর রাতে তাঁদের মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এরপর তাঁকে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কোতোয়ালি থানার পুলিশ দেহটিকে উদ্ধার করে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, প্রেম ঘটিত কারণেই এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে। বুধবার এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মৃতার প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম রাহুল বসু।

পরিবার সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টা নাগাদ রাহুলের সঙ্গে বাইরে যায় তাঁদের মেয়ে। সাড়ে সাতটা নাগাদ বাড়ির লোকজনের সঙ্গে তার শেষ কথা হয়। এরপর থেকেই যুবতীকে আর ফোনে পাওয়া যায়নি। নিহত মেয়েটি দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া। তাঁর বাড়ি কৃষ্ণনগরের কালীনগর এলাকায়। গত আট মাস আগে রাহুলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়।

তবে তাঁদের এই সম্পর্কের কথা গোপন ছিল না। জানা গিয়েছে, অষ্টমীর দিন ওই ছাত্রীর বাড়িতেই দু’জনের ঝগড়া হয়। ঘটনার দিন ছাত্রীটি সমাজমাধ্যমে একটি লেখাও পোস্ট করে বলে জানা গিয়েছে। সে লিখেছে, “আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। আমি নিজেই দায়ী। তোমরা সবাই ভালো থেকো।” যদিও পরিবারের অভিযোগ, রাহুলই এই লেখাটি লিখেছে। এদিকে, যুবতীর মৃত্যুর ঘটনার দ্রুত তদন্ত ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভে নেমেছে কৃষ্ণনগর নাগরিক মঞ্চ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seventeen + 11 =