লক্ষ্মীবারে ওয়াংখেড়েতে ভাগ্যের চাকা ঘুরল না আরসিবির। প্রথমে বল হাতে জসপ্রীত বুমরা দাপট দেখালেন। আর তারপর ব্যাট হাতে ঝড় তুললেন ঈশান কিষাণ ও সূর্যকুমার যাদব। যার ফলে এই নিয়ে টানা ৪ ম্যার হেরে বসলেন বিরাট কোহলিরা। বেঙ্গালুরু শিবিরে একটাই স্বস্তি রানে ফিরেছেন আরসিবি অধিনায়ক ফাফ ডু’প্লেসি। একইসঙ্গে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে অর্ধশতরান করেছেন দীনেশ কার্তিক, রজত পাতিদারও। কিন্তু রোহিত-হার্দিকদের বিরুদ্ধে বিরাট কোহলির ব্যাট চলেনি। জয়ের ধারা বজায় রাখাই লক্ষ্য ছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। তা পূরণ করেছেন বুমরা-স্কাইরা।
টস জিতে প্রথমে আরসিবিকে ব্যাটিংয়ে পাঠান মুম্বইয়ের ক্যাপ্টেন হার্দিক পান্ডিয়া। প্রথমে ব্যাটিং করে ৮ উইকেটে ১৯৬ রান তোলে বেঙ্গালুরু। ৩ রানে ফেরেন বিরাট। তাঁর উইকেট তুলে নেন জসপ্রীত বুমরা। বিরাট ফিরলে নামেন অভিষেক আইপিএল ম্যাচ খেলতে নামা উইল জ্যাকস। ৬ বলে ৮ রান করে আকাশ মাধওয়ালের শিকার হন তিনি। এরপর তৃতীয় উইকেটে ক্যাপ্টেন ফাফ জুটি বাঁধেন রজত পাতিদারের সঙ্গে। তাঁদের ৮২ রানের পার্টনারশিপ ভাঙেন জেরাল্ড কোৎজে। ২৬ বলে হাফসেঞ্চুরি করে মাঠ ছাড়েন রজত। ৪ বল খেলে শূন্যে ফেরেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। এরপর একে একে আরসিবি ক্যাপ্টেন ফাফ ডু’প্লেসি (৬১), মহিপাল লোমরোর (০), সৌরভ চৌহান (৯) এবং বিজয়কুমার বিশাখের (০) উইকেট তুলে নেন বুমরা। ৪ ওভার বল করে ২১ রান দিয়ে ৫ উইকেট ঝুলিতে ভরেন তারকা পেসার।
আরসিবির দেওয়া ১৯৭ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ওপেনিং জুটিতে ১০১ রান তোলেন রোহিত শর্মা ও ঈশান কিষাণ। তাঁরা দু’জনই মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের জয়ের ভিত গড়ে দেন। যে ছন্দে এগোচ্ছিলেন রোহিত-ঈশান, তাতে ১০ উইকেটেই ম্যাচ জিতে নিতে পারত মুম্বই। কিন্তু নবম ওভারে অনবদ্য ছন্দে থাকা ঈশান কিষাণকে ফেরান আকাশ দীপ। ৩৪ বলে ৬৯ রান করে মাঠ ছাড়েন ঈশান। এরপর উইল জ্যাকস তুলে নেন রোহিত শর্মার উইকেট। দ্বিতীয় উইকেটে স্কাইয়ের সঙ্গে রোহিত জুটিতে তোলেন ৩৮ রান। তিনে নামা সূর্যকুমার যাদব এক্কেবারে বিধ্বংসী মেজাজে ব্যাটিং করছিলেন। মাত্র ১৭ বলে অর্ধশতরান করেন সূর্য। ১৪তম ওভারে বিজয়কুমার বিশাখ ফেরান স্কাইকে। ১৯ বলে ৫২ করে মাঠ ছাড়েন স্কাই। সেই সময় মুম্বইয়ের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২১ রান।
এরপর হার্দিক পান্ডিয়া এবং তিলক ভার্মা মিলে ম্যাচ ফিনিশ করেন। ৬ বলে ২১ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন মুম্বইয়ের ক্যাপ্টেন হার্দিক এবং ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন তিলক। ২৭ বল বাকি থাকতেই আরসিবির দেওয়া টার্গেট পূরণ করে ফেলে মুম্বই। টপ অর্ডারের পারফরম্যান্সেই জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন রোহিত-ঈশান-সূর্যরা।
এই জয়ের ফলে ২ পয়েন্ট পাবার পাশাপাশি নেট রানরেট বাড়িয়ে নিল মুম্বই। এবং পয়েন্ট টেবলের সাতে পৌঁছে গেলেন রোহিতরা। আর ৬ ম্যাচে মাত্র ১টিতে জিতে পয়েন্ট টেবলের ৯এ এখন আরসিবি।