ব্যাটিং পিচেও নায়ক বুমরা, ভারতের বিশাল জয়

আমেরিকার পিচ আতঙ্ক কাটিয়ে এসেছে ব্যাটাররা। সুপার এইট পর্ব ক্যারিবিয়ানে। এখানে ব্যালান্স রয়েছে। ব্যাটারদের জন্য যেমন সহায়তা রয়েছে, তেমনই বোলারদেরও। চাই শুধু দক্ষতা এবং পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলার মানসিকতা। সেটাই করে দেখাল ভারতীয় দল। রোহিত শর্মা এবং টিম ম্যানেজমেন্টের নিখুঁত প্ল্যান কাজে এল। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ৪৭ রানের বিশাল জয়ে সুপার এইট পর্ব শুরু করল ভারত।

গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচ নিউ ইয়র্কে খেলেছেন ভারত। ব্যাটাররা প্রবল সমস্যায় পড়েছিলেন। পেসাররা দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন। তবে জসপ্রীত বুমরার মতো পেসারের জন্য যে পিচ, পরিস্থিতি আলাদা কোনও গুরুত্ব রাখে না, আরও একবার প্রমাণ করে দিলেন। নিউ ইয়র্কে প্রথম দু-ম্যাচেই সেরার পুরস্কার জিতে নিয়েছিলেন। সেখানে তাঁর দুর্দান্ত পারফরম্যান্স যেন প্রত্যাশিত ছিল। বার্বাডোজেও দুর্দান্ত পারফর্ম করলেন।

স্থানীয় সময় অনুযায়ী সকালের ম্যাচ। পিচে আর্দ্রতা থাকবে। রোহিত টস জিতে ব্যাটিং নিতেই তাঁর সিদ্ধান্ত চমকে দিয়েছিল। কারণটাও নিজেই জানালেন। পরের দিকে পিচ মন্থর হবে। আফগানিস্তান অধিনায়ক রশিদ খানও জানান, তিনিও ব্যাটিংই নিতেন। রোহিতের পরিকল্পনা পরিষ্কার ছিল। আফগানদের স্পিন আক্রমণ ভালো। পরের দিকে চাপ হতে পারে। তার চেয়ে প্রথমে ব্যাট করে ওদেরই সেই পরিস্থিতিতে ফেলা যাক!

ভারতের শুরুটা ভালো হলেও বড় রান আসেনি রোহিত, বিরাটের ব্যাটে। পার্থক্য গড়ে দেয় সূর্যকুমার যাদব ও হার্দিক পান্ডিয়ার দুর্দান্ত জুটি। ৩৭ বলে ৬০ রান যোগ করে এই জুটি। গ্রুপ পর্বে আমেরিকার বিরুদ্ধে হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন সূর্যকুমার যাদব। টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বের এক নম্বর ব্যাটার সুপার এইট পর্ব শুরু করলেন ২৮ বলে ৫৩ রানের ইনিংসে। হার্দিক ২৪ বলে ৩২ রান করেন। লোয়ার অর্ডারে শিবম, জাডেজা, অক্ষর অবশ্য প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারেননি। শেষ অবধি ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৮১ রান করে ভারত।

ভারতীয় বোলিং আক্রমণের সামনে এই রান খুবই কঠিন। তার উপর নতুন বলে আক্রমণে আনা হয় বুমরাকে। পাওয়ার প্লে-তে প্রথম স্পেলে ২ ওভারে মাত্র ৫ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন বুমরা। ১৬তম ওভারে দ্বিতীয় বলেই উইকেট বুমরার। এই ওভারে ২ রান দিয়ে ১ উইকেট। স্পেলের শেষ ওভারে মেডেন। সব মিলিয়ে তাঁর বোলিং পরিসংখ্যান ৪-১-৭-৩।

এই ম্যাচে একটিই পরিবর্তন করেছিল ভারত। মহম্মদ সিরাজের পরিবর্তে কুলদীপ যাদব। হতাশ করেননি। তাঁর ঝুলিতে ২ উইকেট। আফগানিস্তান অলআউট হওয়ার পথেই ছিল। ফজল হক ফারুকি ও নুর আহমেদ শেষ উইকেটে কোনওরকমে টিকে থাকার চেষ্টা করেন। ইনিংসের শেষ বলে আউট নুর। ১৩৪ রানে থামে আফগানিস্তান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

six + four =