ঐতিহাসিক বাজেট, যা সাহায্য করবে কোটি কোটি বিশ্বকর্মাকে: মোদি

বুধবার কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২৩-২৪- পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। এরপরই এই বাজেটের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করতে শোনা যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। বুধবার সংসদের অধিবেশনে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতরামণের বাজেট পেশের পরই ভিডিয়ো বার্তায় প্রধানমন্ত্রী জানান, ‘ঐতিহাসিক বাজেট। এই বাজেট অমৃতকালের প্রথম বাজেট। বিকশিত ভারতের স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে এই বাজেট বীজ বপন করল। গরিব, কৃষক, মধ্যবিত্ত সহ দেশের সমস্ত নাগরিকের স্বপ্নপূরণ করবে এই বাজেট। এই জনমোহিনী বাজেটের জন্য নির্মলা সীতারমণ এবং তাঁর গোটা টিমকে অসংখ্য অভিনন্দন। উচ্চাঙ্খাক্ষী ভারতের স্বপ্নপূরণ করবে এই বাজেট।’ এরই রেশ ধরে প্রধানমন্ত্রী এও জানান, ‘কোটি কোটি বিশ্বকর্মা রয়েছেন এ দেশে। তাঁরাই দেশ গড়ার কারিগর। তাঁরাই দেশ নির্মাণ করেছেন। তাঁদের পরিশ্রমেই দেশ গড়ে ওঠে। এই বাজেটে সেই সকল বিশ্বকর্মাকে সর্বতোভাবে সাহায্য করা হয়েছে। সরকার সর্বদা তাঁদের পাশে রয়েছে। এই বাজেট তা সুস্পষ্ট করেছে।’

এখানেই শেষ নয়, প্রধানমন্ত্রী মোদি এও জানান, ‘এই বাজেট গরিবদের স্বপ্নপূরণ করবে। গ্রামবাসী, দরিদ্র এবং মধ্যবিত্তদের জন্য এই বাজেট। বঞ্চিতদেরই সর্বাপেক্ষা গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এই বাজেটে।’ এর পাশপাশি মোদি এও জানান, ‘কর্মরত কিংবা গৃহকন্যার কাজে নিযুক্তদের পাশে দাড়িয়েছে সরকার। তাঁদের জন্য অনেক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এই বাজেটে। তাঁরা যাতে আরও উদ্যমের সঙ্গে এগিয়ে যায়, তার জন্য বাজেটে তাঁদের জন্য বিশেষ প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়েছে। আমি জানি, ওঁরা কতটা উদ্যমী। একটু সাহায্য করলেই ওরা মিরাকল করতে পারে। আর তাই সরকার সর্বদা ওদের পাশে রয়েছে। এই বাজেটে তা আরও স্পষ্ট হয়েছে। জন ধন যোজনার পর এই প্রকল্প দেশের মা বোনেদের আরও অনেক ক্ষমতা দেবে।’

এরই সঙ্গে দেশবাসীর প্রতি প্রধানমন্ত্রীরা বার্তা,’নাগরিকদের বলব নয়া অঙ্গীকার নিয়ে এগিয়ে চলুন। এই বাজেটে মধ্যবিত্তদের কর ছাড় দিয়ে সুবিধা দেওয়া হয়েছে।’একইসঙ্গে এও মনে করিয়ে দেন, ‘বরাবর মধ্যবিত্তদের পাশে থেকেছে আমাদের সরকার। সেই কারণে এমএসএমইগুলির উন্নয়নে একাধিক পদক্ষেপ  করা, ছোট ব্যবসায়ীদের জন্য আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা  এবং পরিখাঠামো উন্নয়নে ১০ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। সমস্ত ক্ষেত্রে আধুনিক পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে। এক স্থিতিশীল উন্নয়নের দিশা রয়েছে এদিনের এই বাজেটে। এই বাজেটে ডিজিটাল এগ্রিকালচার পরিকাঠামোর প্রকল্পও গ্রহণ করা হয়েছে। বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কৃষি, দুগ্ধ শিল্প, মৎসজীবীদের জন্যও। একইসঙ্গে কো-অপারেটিভ ক্ষেত্রে বিশ্বের সবথেকে বড় স্টোরেজ ক্যাপাসিটি বানানোর কথা বলা হয়েছে।’এরই রেশ ধরে প্রধানমন্ত্রী এও জানান, ‘এই বাজেট গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নতি ঘটাবে। আর পিএম বিশ্বকর্মা কৌশল সম্মান নিধি কোটি কোটি বিশ্বকর্মার জীবনে বদল আনবে। শুধু তাই নয়, ভারতের বিভিন্ন ক্ষেত্রের কর্মীদের জন্য প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি, ঋণ এবং বাজারের সমর্থনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। একইসঙ্গে কমানো হয়েছে করও।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × two =