সুন্দরবন সীমান্তের নজরদারিতে এবার বিএসএফের প্রমীলা বাহিনী

এবার বিএসএফের প্রমীলা বাহিনীর হাতে যাচ্ছে সুন্দরবন সীমান্তের জলপথ। জলদস্যু ও ম্যানগ্রোভ পাচার রুখতে বিশেষ এই বাহিনীর নিয়োগের সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের। সঙ্গে এও জানা যাচ্ছে, কেবলমাত্র জল সীমান্তে এরা ভাসমান স্পিড বোটের মাধ্যমে অত্যাধুনিক রেডার আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দিনরাত ভারত-বাংলাদেশ বঙ্গোপসাগরে টি-জংশনে টহল দেবেন এই প্রমীলা বাহিনী। অর্থাৎ, শুধু জলদস্যু বা ম্যানগ্রোভ পাচারকারীই নয়, এবার সীমান্তে নজরদারির ক্ষেত্রে আরও কড়া নজর রাখবেন বিএসএফের এই প্রমীলা বাহিনী। আর তার জন্য কুড়ি জনের স্পেশাল মহিলা বাহিনীকে জল সীমান্ত সুরক্ষায় নিরাপত্তা দিতে ইতিমধ্যে নিয়োগও করেছেন সীমান্তের আধিকারিকরা। শুধু নিয়োগই নয়, এঁদের আধুনিক অস্ত্র নিয়েই মহড়াও শুরু হয়েছে সন্দেশখালি বঙ্গোপসাগরের ভারত ও বাংলাদেশে মাঝখান দিয়ে বয়ে যাওয়া বিহারি খালে, বলে সূত্রে খবর। অর্থাৎ, কেন্দ্রের এই পদক্ষেপে এটা স্পষ্ট যে, ভারত থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের বিষয়টির ওপর বিশেষ নজর রাখতে চাইছে কেন্দ্র যে কারণে তৈরি করা হল এই বাহিনী।

তবে এ ব্যাপারে এখানে একটা পরিসংখ্যান দিয়ে রাখা শ্রেয়। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের স্বরূপনগর থেকে হেমনগরের সামশেরনগর পর্যন্ত মোট সীমান্ত প্রায় ৯৩ কিলোমিটার। তার মধ্যে জলপথ রয়েছে ৪০ কিলোমিটার। বাকি ৫৩ কিলোমিটার কাঁটাতার। জল সীমান্ত এলাকার অধিকাংশই অরক্ষিত পাশাপাশি রয়েছে সুন্দরবনের বিশাল জঙ্গল। আর এই সীমান্ত নিরাপত্তার দুর্বলাতার সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশি জলদস্যুরা এদেশে ঢুকে পড়ে। নদী পথে এসে মৎস্যজীবীদের মাছ, কাঁকড়ার নৌকা লুঠ করে বলেও অভিযোগ। এই ঘটনা ঘটানোর পর আবার সহজে জল পথ ব্যবহার করে বাংলাদেশে পালিয়েও যায়। পাশাপাশি বিশাল জঙ্গলে বিভিন্ন সময় চোরা শিকারীদের দাপটের অভিযোগও শোনা যাচ্ছে বহুকাল ধরেই। ম্যানগ্রোভ পাচার, প্রকৃতির ফল-মধু বাংলাদেশে পাচারের অভিযোগও মিলেছে। জল দস্যু থেকে শুরু করে চোরা কারবারিদের সম্পর্কে এই অভিযোগ ক্রমাগত আসতে থাকার জেরেই এমন সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের।

 

 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five − 4 =