রবিবার পেট্রাপোলের কাছে একটি বাসের মধ্যে থেকে ৩০ টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করে বিএসএফের জওয়ানরা। সূত্রের খবর, ৩০টি বিস্কুটের ওজন প্রায় তিন কেজির উপরে। ভারতীয় বাজারে এর মূল্য প্রায় ২ কোটি টাকা। এদিকে বিএসএফ সূত্রে খবর, আগরতলা থেকে ঢাকা হয়ে ভারতে আসছিল একটি বাস। ওই বাসে বিপুল পরিমাণ সোনা পাচার হচ্ছে বলে আগে থেকে খবর ছিল সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কাছে। সূত্রে খবর পেতেই পেট্রাপোল সীমান্তের কাছে বাসটিকে থামায় বিএসএফ। তল্লাশি করতেই লাগেজ বগির ভিতর একটি ব্যাগের ভিতর থেকে ওই বিপুল পরিমাণ সোনা উদ্ধার হয়। আটক করা হয় বাসের চালক, কন্ডাক্টরকে। শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। তাতেই নিজেদের দোষ স্বীকার করে ধৃত বাস চালক মহম্মদ ফরহাদ ও কন্ডাক্টর উমর ফারুক। জিজ্ঞাসাবাদের সময় জানিয়েছে দীর্ঘদিন থেকে তাঁরা এ ধরনের চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত। তাঁরা দুজনেই বাংলাদেশি নাগরিক বলে জানা যাচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁদের পুলিশের হাতে তুলে দেয় বিএসএফ।
এরই পাশাপাশি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর তরফ থেকে এও জানানো হয়, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের পর এও জানা গেছে, নিউ মার্কেটের মহম্মদ জামাল নামে এক ব্যক্তিকে দেওয়ার জন্য ওই সোনা নিয়ে আসা হচ্ছিল। বনগাঁ থেকে ট্রেন পথে শিয়ালদহ এবং সেখান থেকে গাড়িতে নিউমার্কেট আসার কথা ছিল। নিউমার্কেট থেকে এই সোনা নিয়ে সরাসরি মুম্বইতে পাড়ি দেওয়ারও কথা ছিল। বিএসএফের ১৪৫ ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার এই প্রসঙ্গে জানান, ‘সীমান্তে চোরাচালান বন্ধে বিএসএফ প্রতিনিয়ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ কাজে সাফল্যও পেয়েছে। যার কারণে চোরাচালানের মতো অপরাধে জড়িতরা প্রতিনিয়ত ধরা পড়ছে।’
এখানেই একটা তথ্য দিয়ে রাখা জরুরি যে, দক্ষিণবঙ্গের সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রায় ৫৩৮ কিলোমিটার এলাকা এবং উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে প্রায় ৩৭৫ কিলোমিটার অংশে কোনও কাঁটাতার নেই। বিএসএফের তথ্যই বলছে, মোট ৯১৩ কিমি অংশ কাঁটাতার বিহীন অবস্থায় পড়ে। বাংলার এই সমস্ত অংশে বিগত কয়েক বছরে চোরা চালানের পরিমাণ মাত্রাতিরিক্তভাবে বেড়েছে। ফলে কপালে ভাঁজ পড়েছে বিএসএফের আধিকারিকদের। এরই মধ্যে এবার ২ কোটি টাকার সোনার বিস্কুট রবিবার উদ্ধার হল। আর তা করল বিএসএফ।