নিজস্ব প্রতিবেদন, বসিরহাট: ইছামতি নদীতে প্রতিমা নিরঞ্জন একটি ঐতিহ্যবাহী ঘটনা। দুই বাংলা সেই বিসর্জন নিয়ে ইছামতির জল সীমান্তে প্রশাসনিক বৈঠক সারলো বিএসএফ ও বিজিবি। ইছামতির বক্ষে জল সীমান্তের জিরো পয়েন্টে লঞ্চের উপর এই ফ্ল্যাগ মিটিং সম্পন্ন হয়। টাকিতে বিসর্জনকে সামনে রেখে এই মিটিং উপস্থিত ছিলেন দুই দেশের প্রশাসনিক আধিকারিকরাও। প্রসঙ্গত, উত্তর ২৪ পরগনার টাকিতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ইছামতি নদীবক্ষে প্রতিমা নিরঞ্জন রাজ্যের অন্যতম আকর্ষণ। যা দেখতে রাজ্য ছাড়িয়ে ভিনরাজ্য এমনকি বিদেশি পর্যটকরাও ভিড় জমান এখানে। ভারত ও বাংলাদেশের দুই পাড়ের মানুষ এই প্রতিমা নিরঞ্জন দেখতে ভিড় জমান। ইছামতি নদীতে দুই দেশের প্রতিমা নিরঞ্জন যাতে শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্নহয় তার জন্য বোধনের আগেই সীমান্তের দুই বাংলার বিসর্জনের প্রস্তুতি হল জিরো পয়েন্টে। সব রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এবং দুই দেশের সম্পর্ক অটুট রেখে বিসর্জনের ঐতিহ্যকে বজায় রাখতে এই ফ্ল্যাগ মিটিং বলে দাবি আধিকারিকদের। দুই দেশের নিরাপত্তার তাগিতে বেশ কিছু নির্দেশিকা লাগু করা হয় প্রতিমা নিরঞ্জনকে ঘিরে। এই সব বিষয়েই এদিন আলোচনায় উঠে আসে। জানা গিয়েছে, প্রতিবারের মতোই এবারেও দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে নদীর মাঝ বরাবর দুই দেশের সীমানা নির্ধারিত করে দড়ি দিয়ে লঞ্চ লাগিয়ে অস্থায়ী বর্ডার তৈরি হবে। কেউ কারও সীমান্ত অতিক্রম করার অনুমতি পাবে না। বিকেল থেকেই বিসর্জন শুরু হয়ে যায়, শেষ করতে হবে অন্ধকার হওয়ার আগেই।

