রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ জিতেই ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন ব্রড

অ্যাসেজ নিজেদের দখলে রাখলেও সিরিজ জয়ের অপেক্ষা মিটল না অস্ট্রেলিয়ার। শেষ বার ২০০১ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতে সিরিজ জিতেছিল তারা। এ বার ২-০ এগিয়ে থেকে ২-২। বৃষ্টির কারণে ম্যাঞ্চেস্টারে চতুর্থ টেস্ট ড্র না হলে সিরিজ জিততে পারতো ইংল্যান্ডই। ওভাল টেস্টে বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অনবদ্য খেলছিল অস্ট্রেলিয়। চতুর্থ দিনের শেষে বিনা উইকেটে ১৩৫ রান তুলে নিয়েছিল। সেখান থেকে দুরন্ত প্রত্যাবর্তন। কেরিয়ারের শেষ ম্যাচে জ্বলে উঠলেন কিংবদন্তি স্টুয়ার্ট ব্রড। কেরিয়ারের শেষ টেস্ট, ইংল্যান্ডের জয়ের সম্ভাবনা, অস্ট্রেলিয়ার বাকি দুটি উইকেট নিয়ে ম্যাচ ফিনিশ করলেন স্টুয়ার্ট ব্রড। চতুর্থ ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ছিল ৩৮৪ রান। ওপেনিং জুটিতে ১৪০ রান যোগ করেন ডেভিড ওয়ার্নার ও উসমান খোয়াজা। এর মধ্যে চতুর্থ দিনই ১৩৫ রানে ছিল এই জুটি। ওয়ার্নারকে ফিরিয়ে অজি শিবিরে প্রথম ধাক্কা ক্রিস ওকসের। এর পরের ওভারে বোলিংয়ে এসে আর এক ওপেনার খোয়াজাকেও ফেরান ওকস। ১৪০-০ থেকে ১৪১-২। দলীয় ২৯৪ রানে অধিনায়ক প্যাট কামিন্সকে ফিরিয়ে ইংল্যান্ড শিবিরে জয়ের প্রস্তুতি শুরু করেন মইন আলি। টড মার্ফি এবং অ্যালেক্স ক্যারিকে ফিরিয়ে জয় নিশ্চিত করেন স্টুয়ার্ট ব্রড। ৪৯ রানে জয় ইংল্যান্ডের। ক্রিস ওকস চার উইকেট নেন। মইন আলি নেন তিন উইকেট। তবে নজর ছিল শেষ ম্যাচে নামা স্টুয়ার্ট ব্রডের দিকে। জোড়া উইকেটে থামলেন এই পেসার। টেস্ট ক্রিকেটে তাঁর উইকেট সংখ্যা দাঁড়াল ৬০৪।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five + twelve =