বিদেশেই জন্ম, বেড়ে ওঠা হলেও, শিকড়কে ভুলে যাননি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঋষি সুনক। নির্বাচনী প্রচার, প্রস্তুতি নিয়ে হাজারো ব্যস্ততার মাঝেই তাই জন্মাষ্টমী উপলক্ষে মন্দিরে গেলেন সুনক। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী আকশাতা মূর্তিও। ঋষি সুনক নিজেই ইন্সটাগ্রামে ছবি পোস্ট করে মন্দিরে যাওয়ার কথা বলেছেন।
ঋষি সুনক ইন্সটাগ্রাম পোস্টে লেখেন, ‘আজ আমি আগেভাগেই শ্রী কৃষ্ণের জন্মদিবস, জন্মাষ্টমী উদযাপন করতে ভক্তিবেদান্ত ম্যানর মন্দিরে গিয়েছিলাম স্ত্রী আকশাতার সঙ্গে।’
Today I visited the Bhaktivedanta Manor temple with my wife Akshata to celebrate Janmashtami, in advance of the popular Hindu festival celebrating Lord Krishna’s birthday. pic.twitter.com/WL3FQVk0oU
— Rishi Sunak (@RishiSunak) August 18, 2022
প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের প্রচারে স্ত্রী আকশাতার বংশপরিচয় ও অর্থের পরিমাণই অন্যতম অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ালেও, স্ত্রীকে তাঁর সমর্থনের অন্যতম স্তম্ভ বলেই জানিয়েছিলেন সুনক। তিনি আগেই বলেছিলেন, স্ত্রী ও তাঁর শ্বশুর-শাশুড়ির জন্য় তিনি গর্ববোধই করেন। উল্লেখ্য, ঋষি সুনকের স্ত্রী আকশাতার মা-বাবা হলেন ইনফোসিস সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা তথা দুই কর্ণধার নারায়ণ মূর্তি ও সুধা মূর্তি। শ্বশুর-শাশুড়ির জন্য গর্বিত হলেও, তাদের সম্পত্তি বা প্রভাব-প্রতিপত্তির সঙ্গে তাঁর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে সামিল হওয়ার কোনও যোগ নেই বলেই জানিয়েছিলেন ঋষি সুনক।
উল্লেখ্য প্রাক্তন বিদেশ সচিব লিজ ট্রাসের সঙ্গে চূড়ান্ত লড়াইয়ে সামিল ঋষি। কিন্তু দেশের অর্থনীতি নিয়ে তাঁর পরিকল্পনা সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। সেই কারণেই দলীয় কর্মীদের ভোট পাচ্ছেন ঋষির প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাস। সমীক্ষা থেকে দেখা যাচ্ছে, প্রায় ৬৬ শতাংশ ভোট পেতে চলেছেন ট্রাস। মাত্র ৩৪ শতাংশ ভোট পড়বে ঋষির পক্ষে।
গোটা ব্রিটেন জুড়ে প্রায় পাঁচ লক্ষ দলীয় কর্মীর ভোটের পরেই চূড়ান্ত হয়ে যাবে, ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের (British Prime Minister) পরবর্তী বাসিন্দা কে হতে চলেছেন। সেই সঙ্গে কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্ব কার হাতে যাবে, সেই বিষয়টিও পরিষ্কার হয়ে যাবে। আপাতত পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া চলছে। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর নির্বচনের ফল ঘোষণা করা হবে।
নির্বাচনের মুখে দাঁড়িয়ে ভারতীয় শিকড়কে মনে করা এবং তার প্রচার করা ঋষি সুনকের জন্য উপকারী হবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।