একঘেয়ে ঘরে আনুন নতুনের ছোঁয়া

প্রতিদিন অফিস যান বা মাঝেমধ্যে নাইট আউট, দিনের শেষে বা রাতের শেষে নিজের ঘর-বিছানাটুকুতেই যেন সব আরাম, স্বাচ্ছন্দ্য। কিন্তু রোজের দেখা চার দেওয়াল অনেক সময় বোরিং হয়ে ওঠে। একঘেয়ে লাগে চারপাশ। মন ভাল করতে ঘরের অন্দরসজ্জায় ঘটিয়ে ফেলুন অদল-বদল দেখবেন চেনা ঘর আরও সুন্দর হয়ে উঠল। আর একঘেয়েমি কাটল।

আসবাব অদল-বদল: খাট, বিছানা, ড্রেসিং টেবিল, পড়ার টেবিল ঘরের মধ্যে যে সমস্ত আসবাব আছে এদিক -ওদিক করে দিন। মানে পজিশন বদলান। দেখবেন ঘরে নিউ লুক এসেছে।

নতুন টুকিটাকি: ঘরের যে শো-পিস গুলো আছে তার মধ্যে কিছু শো-পিস সরিয়ে সেই জায়গায় নতুন ল্যাম্প শেড, বাঁশের কারুকাজ, ডিজিটাল ফটো ফ্রেম জাতীয় জিনিস বা রকমারি ফুলদানি দিয়ে ঘরটা সাজান।

আলো- ঘরের অন্দর সজ্জায় আলো খুব গুরুত্বপূর্ণ।ইদানীং দেওয়ালে ঝোলানো রকমারি ল্যাম্প শেড পাওয়া যায়। সেগুলো ট্রাই করতে পারেন।

দেওয়াল সজ্জা-

দেওয়াল ম্যারম্যারে লাগল প্রথমেই একটা বড় সাইজের কাপড়ের কারুকাজ করা ওয়াস হ্যাঙ্গিং টাঙিয়ে দিন। অ্যাপ্লিকের কারুকাজের ওয়াল হ্যাঙ্গিং খুব রঙিন হয়। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের ছবি, ওয়াল হ্যাঙ্গিং পাওয়া যায়। একটু বড় আকারের লাগালে দেখবেন ঘরের লুক একদম বদলে যাবে।

সবুজের ছোঁওয়া-

দেওয়ালে বিশেষ স্ট্যান্ড লাগিয়ে ইনডোর প্ল্যান্ট ঝুলিয়ে নিতে পারেন। এতে ঘর সতেজ হয়ে উঠবে। এছাড়া ঘরের কোণে, জানলার গায়েও সবুজের ছোঁয়া দিয়ে সাজিয়ে ফেলুন।

চিনা মাটির প্লেট- আজকাল বাজারে চিনা মাটির তৈরির নানা রঙের প্লেট পাওয়া যায়। এই প্লেটগুলো দেওয়ালে সুন্দর করে ফ্রেম করতে পারেন। ইচ্ছে করলে সাদা প্লেটের উপর নিজেই রঙিন নকশা আঁকতে পারেন।

পর্দা-চাদর বদলান-ঘরের পর্দা, বিছানার চাদর বদলে ফেললেও ঘরটা অন্য রকম লাগবে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 − three =