হাওড়া : রামনবমী উপলক্ষে মিছিল বের হয় হাওড়ার বিভিন্ন প্রান্তে। আপাতভাবে শান্ত পরিবেশের মধ্যে সব মিছিল অনুষ্ঠিত হলেও তাল কাটল হাওড়ার ফজিরবাজার এলাকায়। পূর্ব পরিকল্পনা করে হাওড়ার ফজিরবাজার এলাকায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ানোর অভিযোগ বিজেপির। ঘটনায় বিজেপি ও শাসকদলের মধ্যে শুরু হয়েছে চাপানুতর।
রবিবার বিকেলে রামনবমীর মিছিল বের হয়। ওই মিছিল ফজির বাজার এলাকায় ঢুকলে মিছিলকে লক্ষ করে ইঁট বৃষ্টি করা হয়। মিছিলের বাইরে থেকে ছোঁড়া ইঁটের আঘাতে মিছিলে অংশগ্রহনকারী বেশকিছু সদস্য আহত হয়। মুহূর্তের মধ্যে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। ওই ঘটনায় একজন মহিলা আহত হন। অপর এক সদস্যের মাথা ফেটে যায় ইঁটের আঘাতে। তাকে হাওড়া হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়। ঠিক কি কারণে এই ইঁট ছোঁড়ার ঘটনা ঘটানো হলো এখনো তা স্পষ্ট নয়।
ঘটনার কথা জানতে পেরে ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশ বিবাদমান দুই পক্ষকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। গোটা এলাকায় মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। রাম নবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে যাতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ক্ষতিগ্রস্থ না হয় তার জন্য পরিস্থিতি কড়া হাতে মোকাবিলা করতে প্রস্তুত হাওড়া সিটি পুলিশ। যদিও এই ঘটনাকে বিজেপির চক্রান্ত বলেই দাবি করেন হাওড়া সদর তৃণমূলের সভাপতি কল্যাণ ঘোষ। তিনি বলেন, ঘটনায় যাদের বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। আইন আইনের পথেই চলবে। যাদেরকে বাংলার মানুষ ২০২১ সালে প্রত্যাখ্যান করেছে।
তাদেরকে অযথা কেন শাসকদল কিছু করতে যাবে। তিনি পাল্টা বলেন, বিজেপি এইসব করে শান্ত বাংলাকে অশান্ত করতে চাইছে। শাসকদলের দাবিকে কার্যত উড়িয়ে দিয়ে বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি ওম প্রকাশ সিং দাবি করেন, শাসকদল হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা বাঁধাতে চাইছে রাজ্যে। ওখান দিয়ে মিছিল বেরোবে তার খবর পুলিশের কাছে ছিল। তাহলে কিভাবে বাড়ির ছাদ থেকে ইঁট ছোঁড়া হল। কেন পুলিশের আইবির কাছে আগে থেকে খবর ছিল না এমন কিছু হতে যাচ্ছে। এটা পুলিশের ব্যবস্থাপনার ভেঙে পড়ার উধাহরণ। তিনি দাবি করেন, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কর্মীরা সংযম দেখিয়েছে আজ আক্রান্ত হয়েও। নাহলে পরিস্থিতি অন্যদিকে মোড় নিত।
উল্লেখ্য, আজ সকাল থেকে হাওড়ার বিভিন্ন প্রান্তে মিছিল বের হয় রাম নবমী উপলক্ষে। তবে অন্যান্য মিছিল শান্ত পরিস্থিতিতে সম্পন্ন হলেও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এই মিছিলে যে পরিস্থিতি তৈরি হল তাতে পুলিশ প্রশাসনের ব্যার্থতাকেই ইঙ্গিত করছে বলে মনে করছে জেলার রাজনৈতিক মহল।