দূষণ রোধে আদালত বাজি পোড়ানোর সময় বেঁধে দিয়েছিল। গ্রিন বাজিতেই শুধু সবুজ সংকেত ছিল। কিন্তু আইনি নির্দেশ মানছে কে?
বিপদ জেনেও তার গুরুত্বই বা বুঝতে পারছে কতজন? তার জেরেই দীপাবলির পরের রাতে দিল্লির বাতাসের ‘অতি বিপজ্জনক’ পরিস্থিতি। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স কোথাও কোথাও ৯০০ ছাড়িয়ে গেছে। তবে পিছিয়ে নেই তিলোত্তমাও। পরিবেশ আদালতের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কালীপুজোর রাতে দেদার বাজি ফেটেছে শহরেও। ফলে সকাল হতেই দেখা গেছে বাতাসের গুণমানের অতি ভয়ানক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
পরিবেশবিদরা বলছেন, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, বালিগঞ্জ ও যাদবপুর এলাকায় বাতাসের গুণগত মান বা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ‘ভেরি পুওর’। এখনই একিউআই ৩০০-৪০০-র মধ্যে। রবিবার সন্ধের পর থেকে হাওড়ার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সও ২৫০ ছাড়িয়ে যায়। সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বলছে, কলকাতায় এই সময়ে আল্ট্রাফাইন পার্টিকুলেট পিএম ২.৫-এর মাত্রা অনেকটাই বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) দূষণের যে মাপকাঠি স্থির করেছে তা বহুগুণে ছাপিয়ে গেছে শহরের দূষণ। বায়ুদূষণের যে মাত্রা আমাদের দেশে স্থির করা রয়েছে কলকাতার দূষণ তার চেয়ে আড়াই গুণ বেশি। আর হু-এর নির্ধারিত মাত্রার ১০ গুণ বেশি। রাজ্য পরিবেশ দপ্তরও জানিয়েছে, কলকাতা সহ এ রাজ্যের কয়েকটি জেলায় দূষণের মাত্রা বেড়েছে। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত বাতাসের গতিবিধির দিকে নজর রেখে একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল সেন্টার পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ড। তা থেকে এই পরিসংখ্যান উঠে এসেছে। কলকাতার দূষণের মাত্রা চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে বিশেষজ্ঞদের কপালে।