মুম্বই: ভাঙন এবার মহরাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দল এনসিপিতেও। শরদ পওয়ারের দল থেকে ৯ জন বিধায়ককে নিয়ে মহারাষ্ট্রের শিবসেনা-বিজেপি জোট সরকারে যোগ দিলেন তাঁর ভাইপো অজিত পওয়ার।তিনি ছিলেন মহারাষ্ট্র বিধানসভার বিদায়ী বিরোধী দলনেতা।
রবিবার মহারাষ্ট্রের রাজভবনে গিয়ে শপথ নেন অজিত-সহ অন্য এনসিপি নেতারা। মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন ছগন ভুজবল, দিলীপ ওয়ালসে পাতিল, অদিতি ঠাকরে, ধনঞ্জয় মুন্ডের মতো এনসিপি নেতারা। মহারাষ্ট্রের শাসক জোটের একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, একনাথ শিন্ডে মন্ত্রিসভায় উপমুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন অজিত।ইতিমধ্যেই উপমুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন দেবেন্দ্র ফডণবীস। ফলে মনে করা হচ্ছে দেবেন্দ্রর পাশাপাশি দ্বিতীয় উপমুখ্যমন্ত্রী পেতে চলেছে মহারাষ্ট্র। গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্ব পেতে চলেছেন অন্য এনসিপি বিধায়করাও।
রবিবার নিজের বাসভবনে দলীয় বিধায়কদের একাংশকে নিয়ে বৈঠকে বসেন অজিত পওয়ার। ওই বৈঠকেই পরবর্তী কর্মপন্থা নিয়ে আলোচনা করেন অজিত। অবশ্য এই বৈঠক সম্পর্কে কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন দলের সভাপতি পওয়ার।
যদিও এনসিপি সূত্রে খবর, অজিতের সঙ্গে প্রায় ৪০ জন এনসিপি বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। বর্তমানে মহারাষ্ট্র বিধানসভায় এনসিপির ৫৩ জন বিধায়ক রয়েছেন।তবে সরাসরি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন না অজিত।
বেশ কিছুদিন ধরেই দলের মধ্যে থেকেও, বেসুরো ছিলেন অজিত। রাজ্য রাজনীতিতে এই নিয়ে চর্চা কম হয়নি। কিন্তু জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে দলের সাংগঠনিক ক্ষেত্রে বড় বদল আনে এনসিপি।অজিত বিধানসভায় বিরোধী দলের নেতার পদ থেকে সরে দাঁড়িয়ে এনসিপির সাংগঠনিক দায়িত্ব পালনের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। মনে করা হচ্ছিল, তাঁকে দলের মহারাষ্ট্র শাখার সভাপতি করা হতে পারে। কিন্তু সম্প্রতি দিল্লিতে এনসিপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের পোস্টার থেকে বাদ যায় অজিতের নাম এবং ছবি। উল্টে মেয়ে সুপ্রিয়া সুলেকে এনসিপি-র কার্যকরী সভাপতি কেরন সভাপতি শরদ পাওয়ার। কার্যকরী সভাপতি পদে বসিয়েছেন তাঁর অত্যন্ত বিশ্বস্ত প্রফুল প্যাটেলকেও। তারপর থেকেই অজিতের সঙ্গে দূরত্ব আরও বাড়তে থাকে।
অজিতের বিরোধী দলনেতার পদ ছাড়ার ঘোষণার পর জোর জল্পনা শুরু হয় শরদের ভাইপো তাহলে কী চাইছেন? বিজেপি ও একনাথ শিন্ডের শিবিরে যোগ দেবেন নাকি তিনি? সেই জল্পনাই সত্যিই হয়েছে এদিন।
জানা গিয়েছে, ভাইপোর এই দল ‘বদল’-এর খবর সামনে আসতেই জরুরি বৈঠকে বসেছেন শরদ পাওয়ার। দলের কার্যকরী সভাপতি তথা শরদ পাওয়ারের মেয়ে সুপ্রিয়া সুলে দেখা করতে যান বাবার সঙ্গে। সেই বৈঠকে যোগ দিয়েছেন প্রফুল্ল প্যাটেলও। যদি শেষ পর্যন্ত অজিত মহারাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে হাত মেলান, তবে কীভাবে ‘ড্যামেজ কন্ট্রোল’ করা যায় সেটাই লক্ষ্য এখন পাওয়ার পরিবারের।
\