রোহিত শর্মার পর মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ক্যাপ্টেন্সি নিয়ে যখনই আলোচনা উঠেছে, নাম এসেছে জসপ্রীত বুমরার। তার কারণও রয়েছে। গত ইংল্যান্ড সফরে টেস্টে ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন জসপ্রীত বুমরা। টেস্ট ক্রিকেটে একটি মাত্র ম্যাচেই ক্যাপ্টেন্সি করেছেন। ভাইস ক্যাপ্টেন থেকেছেন বেশ কিছু ম্যাচে। শুধু তাই নয়, আয়ারল্যান্ডে টি-টোয়েন্টিতেও ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। টেস্ট ম্যাচটি ড্র হলেও টি-টোয়েন্টি দুটি জিতেছেন ক্যাপ্টেন বুমরা। বিশ্ব ক্রিকেটে বোলার ক্যাপ্টেন খুবই কম দেখা যায়। অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট অধিনায়ক পেসার প্যাট কামিন্স। বুমরা অবশ্য উদাহরণ টেনেছেন বিশ্বজয়ী দুই ক্যাপ্টেন কপিল দেব এবং ইমরান খানেরও। বোলাররাই ‘স্মার্ট’ ক্যাপ্টেন, এমনটাই মনে করেন জসপ্রীত বুমরা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জসপ্রীত বুমরা বলেছেন, ‘আমি মনে করি বোলাররা বেশি স্মার্ট হয়। কারণ, ব্যাটারদের তো আউট করতে হয়! বোলারের কাজটা খুবই কঠিন। কোনও অজুহাত দেওয়ার জায়গা নেই। পাটা পিচ বলে দায় এড়ানো সম্ভব নয়, সামনে থেকে লড়তে হয়। ম্যাচ হারলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দায় চাপানো হয় বোলারদের উপরই। আমার মনে হয় বোলারদের কাজটা খুবই কঠিন।’
বোলারদের ক্যাপ্টেন করা প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা প্যাট কামিন্সকে দেখছি। ও খুবই ভালো ক্যাপ্টেন্সি করছে। ছেলেবেলায় ওয়াকার ইউনিস, ওয়াসিম আক্রমকে ক্যাপ্টেন্সি করতে দেখেছি। কপিল দেব আমাদের বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন। পাকিস্তান বিশ্বকাপ জিতেছিল ইমরান খানের ক্যাপ্টেন্সিতে। সুতরাং আবারও বলব বোলাররা স্পার্ট বেশি।’
ক্যাপ্টেন্সির ক্ষেত্রে বোলারদের এগিয়ে রাখলেও কোনও বিভেদের পক্ষে নন বুমরা। ভারতীয় টিমে বোলার এবং ব্যাটারদের মধ্যেও কোনও পার্থক্য নেই, পরিষ্কার করেন। বুমরা বলছেন, ‘বুঝি আমাদের দেশে ব্যাটারদের বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়, এটা নিয়ে আমার কোনও খেদও নেই। তবে মনে করি, ম্যাচের আসল পরিচালক বোলাররাই। আমি যে জেনারেশন থেকে উঠে এসেছি, টেলিভিশনে টেস্ট ক্রিকেটই বেশি দেখানো হত। এটাই আমার কাছে আসল ফরম্যাট। আমি মনে করি, টেস্টে ভালো পারফর্ম করতে পারলে, বাকি ফরম্যাটেও পারব।’