৭ জুলাই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন বরিস জনসন। আগেই শোনা গিয়েছিল এদিনই তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে চলেছেন। তিনি জানান দলের সতীর্থদের দাবি মেনেই তিনি সরে যাচ্ছেন। নিজের মেয়াদ সম্পূর্ণ না করার জন্য তিনি দুঃখিত বলে জানান। তবে রাজনীতিতে কেউই অপরিহার্য নয় বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। আরও বলেছেন নতুন প্রধানমন্ত্রীর প্রতি তাঁর পূর্ণ সমর্থন থাকবে।
১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের বাইরে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেষ বক্তৃতাও দিয়ে ফেলেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। জানালেন, প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন তিনি। তবে তাঁর কনসারভেটিভ পার্টি যত দিন না নতুন নেতা নির্বাচিত করছে, তত দিন তিনিই তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী হিসেবেই থাকতে চান বলেও জানিয়েছেন বরিস।
নিজের ভাষণে বরিস বলেন, ‘এটা এখন আমার কাছে স্পষ্ট যে আমার এমপি-রা আমাকে দল বা দেশের নেতা হিসেবে দেখতে চান না।’ বরিস জানান, প্রধানমন্ত্রী পদে থেকে যা যা কাজ করতে পেরেছেন সে জন্য তিনি গর্বিত। নিজের সফল কাজ হিসেবে তিনি জানিয়েছেন, ব্রেক্সিট, অতিমারির সময় সরকার চালানো এবং পুতিনের রাশিয়ার ইউক্রেন হামলার পরবর্তী পরিস্থিতি সামলানোকে।
এদিন আনুষ্ঠানিকভাবেপদত্যাগের কথা ঘোষণা করলেও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী আপাতত কাজ চালিয়ে যাবেন। আগামী অক্টোবর মাসে কনজারভেটিভ পার্টি বা টোরি পার্টির সম্মেলন হবে। সেখানেই দলের নতুন নেতা বেছে নেওয়া হবে। তারপরই প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়বেন তিনি। বরিসের উত্তরসুরি হিসাবে নাদিম জাহাউই ছাড়াও দৌড়ে রয়েছেন ঋষি সুনাক এবং সাজিদ জাভিদ।
বস্তুত যত দিন যাচ্ছিল পদ ছাড়ার জন্য চাপ বাড়ছিল বরিসের উপর। একের পর এক মন্ত্রী তাঁর ক্যাবিনেট থেকে পদত্যাগ করছিলেন। বুধবার রাত পর্যন্ত অবশ্য পদ ছাড়তে নারাজ ছিলেন বরিস। তবে বৃহস্পতিবার নবনিযুক্ত শিক্ষামন্ত্রী মিশেল ডোনেলান ইস্তফা দেন। নবনিযুক্ত অর্থমন্ত্রী নাদিম জাহাউই ও প্রধানমন্ত্রীকে সরে দাঁড়ানোর জন্য। আহ্বান করেছিলেন। এরপরই লড়াইয়ের ময়দান ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী।