টাকা আমার, কুন্তলের নয়, ইডি দপ্তর থেকে বেরিয়ে দাবি বনির

রুপোলি পর্দার অভিনেতা বনি সেনগুপ্তকে যা যা নথি জমা  করতে বলা হয়েছিল, তার সবটাই মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি-র দপ্তরে জমা দিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে এমনটাই জানান অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত। এদিকে ইডি সূত্রে খবর, এদিন আড়াই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের বনি এও জানান, ‘যা বলার বলে এসেছি। আমাকে আর ডাকেনি ইডি। এবার যা বলার তদন্তকারী আধিকারিকরাই বলবেন।’ কুন্তল ঘোষের থেকে পাওয়া টাকা দিয়ে কেনা ৪০ লাখি গাড়ি, ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট এবং বিদেশ যাওয়ার নথিপত্রও জমা করেছেন তিনি। এদিকে তাঁর জমা করা নথি এবং বয়ানে ইডি আদৌ সন্তুষ্ট কি না, তা এখনও জানা যায়নি। সে ক্ষেত্রে অভিনেতাকে ফের তলব করা হতে পারে বলেও সূত্রের খবর।

এখন জল্পনা একটাই, কুন্তলের কাছ থেকে পাওয়া টাকা তিনি এবার ফেরত দেবেন কিনা তা নিয়ে। এই প্রসঙ্গে বনির সোজা-সাপ্টা উত্তর ‘ওই সব টাকা আমার।’

এদিকে সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকাল ১১টার কিছু পরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দপ্তরে হাজির হন অভিনেতা। কুন্তল ঘোষের থেকে নেওয়া ৪০ লাখ টাকার বিনিময়ে কেনা বিলাসবহুল ল্যান্ড রোভার গাড়ি নিয়ে তাঁকে বিস্তারিত তথ্য জমা করতে বলা হয়। অভিনেতার দাবি, সেই সমস্ত কাগজ তিনি জমা করেন। বনি আগেই জানিয়েছিলেন ২০১৭ সালে তাঁর কুন্তল ঘোষের সঙ্গে আলাপ হয়। সেই পরিচিতি সূত্রেই কুন্তলের প্রোডাকশন সংস্থার জন্য বেশ কিছু ইভেন্টে কাজ করেছিলেন তিনি। সেই বাবদ পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন অভিনেতা। আর এই পারিশ্রমিক নগদে না নিয়ে গাড়ির শোরুমে জমা করতে বলেন কুন্তলনকে। হুগলির যুব তৃণমূল নেতাও ল্যান্ড রোভারের শোরুমে ৪০ লাখ টাকা জমা করে দেন। এখানেই প্রশ্ন জাগে তদন্তকারী আধিকারিকদের মনে। একাংশের অনুমান, কুন্তল এবং বনি যোগসূত্রে একাধিক রহস্য লুকিয়ে আছে। বনিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই সেই তথ্য প্রকাশ্যে আসতে পারে। যা আগামীদিনে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে অনেকটাই অগ্রগতি আনবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 + 15 =