আবার কাঁটা তারের বেড়া পেরিয়ে বন্ধন এক্সপ্রেস চলল বাংলাদেশ। করোনা কাটা সরিয়ে অবশেষে দীর্ঘ ২৬ মাস বন্ধ থাকার পর রবিবার সকাল ৯ টা ৪১ মিনিট নাগাদ ভারত থেকে বেনাপোলে পৌঁছল বন্ধন এক্সপ্রেস। স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত দুই দেশের যাত্রী এবং রেল কর্তৃপক্ষ। ২০১৭ সালের ১৬ নভেম্বর ভারতের কলকাতা এবং বাংলাদেশের খুলনা স্টেশনের মধ্যে চালু হয় বন্ধন এক্সপ্রেস। সাফল্যে সঙ্গে বন্ধন এক্সপ্রেস চলাচল করলেও, করোনার জন্য বাধ্য হয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় ট্রেনটি। তারপর এদিন আবার বন্ধন এক্সপ্রেস কলকাতা স্টেশন থেকে সকাল ৭:১০ মিনিটে ছেড়ে বনগাঁ, পেট্রাপোল হয়ে বেনাপোলে পৌঁছয় ৯:৪১ মিনিটে।
বন্ধন এক্সপ্রেস চালু হবার আগেই কলকাতা থেকে গেদে, দর্শনা সীমান্ত হয়ে ঢাকা পর্যন্ত চালু হয়েছিল মৈত্রী এক্সপ্রেস। সেই ট্রেনের সাফল্য এবং যাত্রীদের চাহিদা মেনে পরবর্তীতে বন্ধন এক্সপ্রেস চালু করা হয়। প্রথমদিকে মৈত্রী এক্সপ্রেসের সংখ্যা কম থাকলেও যাত্রীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় পরে ট্রেনের সংখ্যাও বাড়িয়ে দেয় রেল কর্তৃপক্ষ। সব ঠিকঠাক চললেও এক সময় বাঁধ সাধলো করোনা। এই অতিমারির প্রভাবে গোটা পৃথিবী যখন তোলপাড়, তখন যাত্রী নিরাপত্তা এবং দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তার কথা ভেবে আর্ন্তজাতিক রুটের এই দুটি ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় দু’দেশের রেল মন্ত্রক। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়াতে পুনরায় ভারত-বাংলাদেশের যাত্রীদের জন্য বন্ধন এক্সপ্রেস চালু হওয়ায় খুশি সকলে। এদিন ট্রেনটিতে ছিল কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। কোনও যাত্রী বনগাঁ সংলগ্ন কোনও স্টেশনে নামতে দেখা যায়নি। আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে এই ট্রেনটি ৯:৪১ মিনিট নাগাদ বেনাপোলে পৌঁছয়। ট্রেনটি নতুন করে চালু হওয়াতে দুই দেশের যাত্রীদের যেমন সুবিধা হল পাশাপাশি বাড়ল ট্রেনের সঙ্গে যুক্ত মানুষদের আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য।