ব্রাজিলের (Brazil) কংগ্রেস, প্রেসিডেন্ট ভবন ও সুপ্রিম কোর্টে তাণ্ডব চালাল প্রাক্তন রাষ্ট্রপ্রধান জাইর বলসোনারোর (Jair Bolsonaro) সমর্থকরা। রবিবার বিকেলে ব্রাজিলের পতাকা হাতে নিয়ে দেশের গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলিতে হামলা শুরু করে প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের সমর্থকরা। দরজা-জানলা ভেঙে সুপ্রিম কোর্ট ও দেশের কংগ্রেস ভবনে ঢুকে সামরিক অভ্যুত্থানের দাবি জানায় উন্মত্ত জনতা। যদিও এই ঘটনার সময়ে রাজধানীতে উপস্থিত ছিলেন না প্রেসিডেন্ট লুলা। হামলার খবর পেয়েই তিনি সরাসরি বলসোনারোকে এই ঘটনার জন্য দায়ী করেন। হামলা থামাতে কঠোর ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে নির্দেশ দেন প্রেসিডেন্ট।
এই তাণ্ডবকে ফ্যাসিবাদী হামলার আখ্যা দিয়েছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা (Lula Da Silva)। ব্রাজিলের এই দাঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তিনি জানিয়েছেন, গণতন্ত্রের ঐতিহ্যকে সকলের সম্মান করা উচিত। ব্রাজিলের বর্তমান প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভাকে ট্যাগ করে মোদি লিখেছেন, ‘ব্রাসিলিয়াতে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে এই দাঙ্গা ও ভাঙচুরে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। সকলের গণতন্ত্রের ঐতিহ্যকে সম্মান করা উচিত। ব্রাজিলের কর্তৃপক্ষকে পুরোপুরি সমর্থন জানাচ্ছি।’
জানা গিয়েছে, রবিবার ব্রাজিলের স্থানীয় সময় দুপুর তিনটে নাগাদ বলসোনারোর বিপুল সংখ্যক সমর্থক জড়ো হন দেশের গুরুত্বপূর্ণ তিনটি ভবনের সামনে। প্রেসিডেন্ট ভবন, সুপ্রিম কোর্ট ও দেশের কংগ্রেস- তিনটি জায়গায় একসঙ্গে তাণ্ডব শুরু করে প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের সমর্থকরা। হামলার একাধিক ভিডিও ফুটেজ থেকে দেখা যাচ্ছে, তিনটি ভবনে ঢুকে ভাঙচুর করেছে উন্মত্ত জনতা। তাছাড়াও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র চুরি করেছে হামলাকারীরা। নানা জায়গায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। হামলা থামাতে গিয়ে আক্রমণের মুখে পড়েছে পুলিশ। হেনস্তা করা হয়েছে সাংবাদিকদেরও।
ব্রাজিলের এই ঘটনা মনে করিয়ে দিয়েছে মার্কিন ক্যাপিটলের হামলার ঘটনা। ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি একইভাবে মার্কিন সংসদে হামলা চালিয়েছিল সদ্য প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকরা।