হোলির দিন হঠাৎই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের মধ্যে এক জলাশয়ে ভেসে উঠল এক বছর ২৫-এর যুবক আসিফ মণ্ডলের দেহ। সূত্রে খবর, বুধবার বিকেলের কিছু আগে এই দেহ ভেসে ওঠে৷ পুলিশের তরফ থেকে প্রাথমিক ভাবে জানানো হয়েছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের মধ্যে এক যুবকের তলিয়ে যাওয়ার খবর মেলে তিনটে ৫০ মিনিট নাগাদ। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, এদিন বিকালে ঝিলপাড়ে বন্ধুদের সঙ্গে বসে আড্ডা দিচ্ছিল যাদবপুরেরই প্রাক্তন ছাত্র আসিফ। তখনই মুখ ধুতে গিয়ে জলে পড়ে যান বলে খবর। প্রায় চল্লিশ মিনিট ধরে তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। এরপর ছাত্রছাত্রীরাই কর্তৃপক্ষকে ঘটনার কথা জানান।
এদিকে এই খবর পেয়ে যাদবপুর থানার পুলিশকর্মীরা সেই সময়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান। পৌঁছে যায় বিপর্যয় মোকাবিল দলও৷ এরপরই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্কিটেকচার বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র মহম্মদ আসিফ মণ্ডলের দেহ তারপর জলাশয় থেকে উদ্ধার করা হয়৷ আসিফ পর্ণশ্রী, কলকাতার সরকারি হাউজিং এস্টেটের বাসিন্দা। উদ্ধার করার পর তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখানে নিয়ে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন৷ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে একাধিক ঝিল রয়েছে। কয়েকটি ছোট, কয়েকটি বড়ো৷ সাধারণত এগুলিতে পড়ুয়াদের নামা মানা। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিষেধ অগ্রাহ্য করে দোলের ছুটিতে আসা ছাত্র এই পুকুরে বা ঝিলে নেমেছিল কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন স্থানীয়রা।
প্রসঙ্গত, ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশ নিয়ে বিগত কয়েক মাসে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে যাদবপুর ক্যাম্পাস। জারিও হয়েছে নির্দেশিকা। তবে তা আপত্তিও জানিয়েছেন অনেকে। বিতর্কের মুখে গেটের সামনে বিজ্ঞপ্তি ঝোলানোর পরেও তা প্রত্যাহার করা হয়। এমনকী দোলের আগেও ক্যাম্পাসের সুস্থ পরিবেশ বজায় রাখতে কর্তৃপক্ষের তরফে জারি হয় নির্দেশিকা। কোনওভাবেই যাতে ক্যাম্পাসের পঠনপাঠন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে বিষয়ে সতর্ক করা হয়। এরইমধ্যে এবার এই দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ায় তা নিয়ে শুরু হয়েছে চাপানউতোর।