উত্তর ২৪ পরগনা : বাড়ির অদূরে পুকুর থেকে উদ্ধার হয়েছে এক আদিবাসী যুবতীর দেহ। তিনদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কোমরেও বাঁধা ছিল ইট।
প্রাথমিকভাবে অনুমান, খুন করা হয়েছে তাঁকে। তবে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা, তা এখনও নিশ্চিত নয়। বসিরহাটের ন্যাজাট থানার কালীনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটিহারা এলাকার ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা।
শনিবার সকালে ঘটিহারা এলাকার এক পুকুরে একটি দেহ ভাসতে দেখা যায়। তা নিয়ে হইচই শুরু হয়। খবর দেওয়া হয় ন্যাজাট থানায়। তড়িঘড়ি পুলিশকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। পুকুর থেকে দেহ উদ্ধার করা হয়। সেই সময় দেখা যায়, তরুণীর হাত-পা বাঁধা রয়েছে।
নিখোঁজ যুবতীর বাড়ি থেকে ৫০০ মিটার দূরে অবস্থিত ওই পুকুরটি। তাঁর পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ শনাক্ত করে। পরিবারের দাবি, তাঁকে পরিকল্পনামাফিক খুন করে দেহ পুকুরের জলে ফেলে দেওয়া হয়েছে। খুনের আগে ধর্ষণের আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না নিহতের পরিজনেরা।
মৃতার বয়স ১৮ বছর। পরিবার সূত্রে খবর, গত ৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় গবাদি পশুদের পরিচর্যার জন্য গোয়ালঘরে গিয়েছিলেন তরুণী। বাড়ির অদূরেই গোয়ালটি। তরুণীর সঙ্গে তাঁর মা-ও ছিলেন। তবে মায়ের দাবি, ‘‘আমি আগেই বাড়িতে চলে এসেছিলাম। মেয়ে বলেছিল, ‘তুমি যাও, আমি আসছি।’ কিন্তু তার পর অনেকটা সময় কেটে যায়। মেয়ে না ফেরায় ওর খোঁজে বেরোই। কিন্তু কোথাও পাইনি ওকে।’’
হাত-পা বাঁধা অবস্থায় দেহ উদ্ধার হওয়ায় প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীরা মনে করছেন, খুনই করা হয়েছে যুবতীকে। তবে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত জানা সম্ভব নয় বলেই মনে করছে পুলিশ।