নববর্ষের সকালে মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকল বরানগর। বন্ধ ঘরের ভিতর থেকে উদ্ধার হল একই পরিবারের তিন প্রজন্মের দেহ। এই ঘটনাকে ঘিরে রবিবার রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় বরানগর পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের নিরঞ্জন সেন নগরে। মৃতরা হলেন শঙ্কর হালদার (৭০), অভিজিৎ হালদার ওরফে বাপ্পা ( ৪৮) ও দেবপর্ণ ওরফে বর্ন হালদার(১৬)। এঁরা সম্পর্কে বাবা-ছেলে-নাতি।
জানা গিয়েছে, শঙ্কর হালদার বরানগর পুরসভার অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী ছিলেন। খুন নাকি আত্নহত্যার ঘটনা, তা খতিয়ে দেখছে বরানগর থানার পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃদ্ধ শঙ্কর বাবু পুত্র ও নাতিকে নিয়ে ওই বাড়িতে থাকতেন। পারিবারিক অশান্তির জেরে বাপ্পার স্ত্রী দেড় বছর আগে বাড়ি ছেড়ে চলে যান। স্থানীয়দের দাবি অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার থেকে বাড়ির দরজা বন্ধ ছিল। কাউকে বাড়ির বাইরে বের হতে দেখা যায়নি। শনিবার থেকেই ওই বাড়ি থেকে হালকা পচা গন্ধ বের হচ্ছিল। রবিবার সকাল থেকে পড়শিরা তীব্র পচা গন্ধ পেয়ে পুলিশে খবর দেন। বরানগর থানার পুলিশ কোলপসিবল গেটের ভেঙে পুলিশ ঘরে ঢুকে তিন জনের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, বাবা ও পুত্রকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন বাপ্পা। এই ঘটনা নিয়ে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি সাউথ অনুপম সিং জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই ওঁদের মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। মনে হচ্ছে, দু-দিন আগে ওঁদের মৃত্যু হয়েছে। বৃদ্ধের দেহ পড়েছিল নিজের ঘরে। আর বারান্দায় বাবা-ছেলের দেহ পড়েছিল। ডিসি সাউথ আরও জানান, সমস্ত দিক খতিয়ে দেখেই ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হবে। ঘটনার নেপথ্যে অন্য কেউ আছে কিনা, পুলিশ সেটাও খতিয়ে দেখছে।