আন্দামান সাগরে ভয়াবহ নৌকোডুবিতে প্রাণ গেল প্রায় ১৮০ জন রোহিঙ্গার। প্রায় কয়েক সপ্তাহ ধরেই নিখোঁজ ছিল নৌকাটি। রাষ্ট্রসংঘের তরফে এই ধরনের কোনও দুর্ঘটনার আশঙ্কাই করা হচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত আশঙ্কাই সত্য হল। জলে ডুবে মারা গিয়েছেন রোহিঙ্গা শরণার্থীরা। কমপক্ষে ১৮০ জন রোহিঙ্গা শরণার্থী মারা গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এখনও বহুজন নিখোঁজ। তাঁদের সন্ধানে তল্লাশি চলছে। এ নিয়ে যথারীতি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসংঘ।
বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য নৌকোটি রওনা হয়েছিল। ২ ডিসেম্বর পাড়ি দিয়েছিল নৌকাটি। কিন্তু ৮ ডিসেম্বরের পর থেকে সেই নৌকোর যাত্রীদের সঙ্গে আর কোনও ভাবেই যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এর আগে গত সপ্তাহেও ভারতের উপকূলে রোহিঙ্গাদের একটি নৌকা উদ্ধার করা হয়েছিল। এ নৌকায় ক্ষুধা-তৃষ্ণায় অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। নৌকোটিতে ১০০ জনের মতো রোহিঙ্গা ছিলেন। চলতি মাসের শুরুতে শ্রীলঙ্কার উত্তর উপকূল থেকে ১০৪ জন রোহিঙ্গা-সহ একটি নৌকো উদ্ধার করেছিল শ্রীলঙ্কা নৌবাহিনী।
শ্রীলঙ্কা উপকূলের মৎস্যজীবীরা নৌকোডুবির কথা জানতে পেরে উপকূলরক্ষীদের খবর দেন। তাঁরা গিয়ে উদ্ধারকাজ চালান। ততক্ষণে অবশ্য সমুদ্রে ১৮০ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীর সলিলসমাধি হয়ে গিয়েছে। আন্দামান সাগরের এই নৌকোডুবি বছরের সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে।