খানাকুলে চিটফান্ড কাণ্ডে ব্লক তৃণমূলের সহ-সভাপতি সিবিআইয়ের জালে, ১৪ দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ

আবারও তৃণমূলের এক উচ্চ নেতা চিটফান্ডে জালিয়াতির অভিযোগে সিবিআইয়ের জালে। হুগলি জেলার খানাকুল এক নম্বর ব্লক তৃণমূলের কংগ্রেসের সহ সভাপতি প্রবীর চ্যাটার্জিকে গ্রেপ্তার করল সিবিআই। গ্রেপ্তারের পর আরামবাগ মহকুমা আদালতে তোলা হয়। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোরেই প্রবীরবাবুকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। তারপর তাকে আরামবাগ মহকুমা আদালতে তোলার তোরজোর শুরু হয়। এরপর বিশেষ নিরাপত্তার বেড়াজালে সিভিল ড্রেসে আদালতে তোলা হয়। আরামবাগ মহকুমা আদালতের মহামান্য আদালত ১৪ দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দেন। আরামবাগ মহকুমা কোর্টের সরকারি পক্ষের আইনজীবী অমিতাভ গুহ জানান, ওনাকে চিটফান্ড কান্ডে সিবিআই গ্রেপ্তার করে আদালতে তোলে। মহামান্য আদালত ১৪ দিনের জেল হেফাজত দিয়েছেন। অভিযোগকারী তিন লক্ষ টাকার অভিযোগ এনেছে। আরও কয়েকজন অভিযুক্ত রয়েছে। জলপাইগুড়ি থেকেও সিবিআই তথ্য সংগ্রহ করছে। এদিন জেল হেফাজত হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আগেই তাঁর বিরুদ্ধে জারি হয়েছিল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। তবুও তৃণমূলের কর্মসূচি থেকে মিটিং-মিছিলে ঘুরতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। প্রবীর চ্যার্টাজি-সহ বেশ কয়েকজন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রায় ৯০ কোটি টাকার জালিয়াতির অভিযোগ ওঠে। সিবিআই সূত্রে খবর, ২০১৩ সালের ২০ এপ্রিল ভারত কৃষি সমৃদ্ধি লিমিটেড নামে এক চিটফান্ড কোম্পানির নামে অভিযোগ দায়ের হয়। পাশাপাশি আর্থিক দুর্নীতির তদন্তে নামে ইডি-ও। তারই জেরে জানুয়ারির ৪ তারিখ প্রবীর চ্যাটার্জি সহ বেশ কয়েকজনের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বের হয়। এরপর গত ১৩ জানুয়ারি খানাকুলের ময়ালে তৃণমূলের একটি মিছিল ও সভায় সক্রিয়ভাবেই দেখতে পাওয়া যায় অভিযুক্ত ওই তৃণমূল নেতাকে। সভায় অভিযুক্ত নেতার সঙ্গে আরামবাগ তৃণমূল জেলা সভাপতি রামেন্দু সিংহ রায় ছাড়াও খানাকুল ১ ব্লক তৃণমূলের প্রথম সারির নেতারা ছিলেন। এই বিষয়ে খানাকুল এক নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ইলিয়াস চৌধুরি বলেন, যদি কেউ অন্যায় করে থাকে তাহলে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। দলও তার বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করবে। একজনকে নিয়ে তো দল নয়। দলের কাছে খোঁজ খবর ছিল না বলে দলের দায়িত্ব দিয়েছিল। এবার সিবিআই গ্রেপ্তার করেছে। দল চিন্তা ভাবনা করবে বলে জানান ইলিয়াসবাবু। সবমিলিয়ে তৃণমূল নেতার গ্রেপ্তারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য এলাকায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seven − two =